প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে বসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহিলা সংরক্ষণ বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। এই বিল পাশ হলে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সোমবার সকালেই মোদী বলেছিলেন, বিশেষ অধিবেশনে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হবে। মহিলা সংরক্ষণ বিলের ছাড়পত্রই সেই সিদ্ধান্ত কি না, তা বিশেষ অধিবেশনেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সেমবার দফায় দফায় বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডা। এর পরেই বিশেষ অধিবেশন নিয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে। এর মধ্যে সেই অধিবেশনের শুরুর দিন সন্ধ্যাতেই যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়, তখন জল্পনা আরও বৃদ্ধি পায়। কানাঘুষো শুরু হয় যে, মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে মহিলা সংরক্ষণ বিলকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল।
পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনে আলোচনার জন্য কোন আটটি বিল পেশ করা হচ্ছে, রবিবারের সর্বদল বৈঠকে বিরোধী দলগুলিকে তা জানিয়েছে কেন্দ্র। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই আটটি বিলের তালিকায় নেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি। বিতর্ক এবং বিরোধী দলগুলির বিরোধিতার মুখে আপাতত এই বিলকে কেন্দ্র হিমঘরে পাঠাচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।
সোমবার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ দিন সংসদে ঢোকার আগেই চন্দ্রযান-৩ এবং জি২০-র ‘সাফল্য’ নিয়ে কথা বলেন মোদী। বলেন, “দেশের মধ্যে একটা নতুন আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে বৈচিত্রের কথাও। তিনি বলেন, “জি২০ সম্মেলনে দেশের বৈচিত্রের উদ্যাপন হয়েছে।” পরে সংসদের ভিতর দেশের ৭৫ বছরের সংসদীয় গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে মোদী তাঁর পূর্বসূরিদের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জওহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী, নরসিংহ রাও প্রমুখ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথা।
মঙ্গলবার অধিবেশন হবে সংসদের নতুন ভবনে। সাংসদদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে স্মারক উপহারও।