নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে)। অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বৈঠকে বসবেন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। সূত্রের খবর, কী কারণে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে, তা জানেন না অধিকাংশ মন্ত্রীই। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ অধিবেশনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ এবং পাশ করানোর ক্ষেত্রে সরকারের কী ভূমিকা হবে, তা নির্ধারণ করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো বটেই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ গুরুত্বপূর্ণ সব সদস্যেরই উপস্থিত থাকার কথা। পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনে আলোচনার জন্য কোন আটটি বিল পেশ করা হবে, রবিবারের সর্বদল বৈঠকে বিরোধী দলগুলিকে তা জানিয়েছে কেন্দ্র। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই আটটি বিলের তালিকায় নেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি। বিতর্ক এবং বিরোধী দলগুলির বিরোধিতার মুখে আপাতত এই বিলকে কেন্দ্র হিমঘরে পাঠাচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।
সোমবার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন সংসদে ঢোকার আগেই চন্দ্রযান-৩ এবং জি২০-র ‘সাফল্য’ নিয়ে কথা বলেন মোদী। বলেন, “দেশের মধ্যে একটা নতুন আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে বৈচিত্রের কথাও। তিনি বলেন, “জি২০ সম্মেলনে দেশের বৈচিত্রের উদ্যাপন হয়েছে।” পরে সংসদের ভিতর দেশের ৭৫ বছরের সংসদীয় গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে মোদী তাঁর পূর্বসূরিদের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ী, নরসিংহ রাও প্রমুখ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথা।