দিল্লি হাই কোর্ট চত্বরে স্যানিটারি ন্যাপকিন পেতে নাকাল শিক্ষানবিশ আইনজীবী। প্রতীকী ছবি।
প্রয়োজনের সময়ে আদালত চত্বরে শত খুঁজেও পাননি স্যানিটারি ন্যাপকিন। এমনকি, সেখানকার ওষুধের দোকানেও তা অমিল। আদালত চত্বরে যাতে ভেন্ডিং মেশিন অথবা অন্য কোনও উপায়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য হয়, সে নির্দেশিকা দিতে এ বার দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী। এ নিয়ে ওই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মাকে চিঠি লিখেছেন তিনি।
মঙ্গলবার নিজের চিঠিতে ওই শিক্ষানবিশ আইনজীবী জানিয়েছেন, ১ অগস্ট থেকে তিনি হাই কোর্টের এক আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু করেছেন। তবে কাজের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রয়োজন হলে অত্যন্ত অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। আদালত চত্বরের ওষুধের দোকানে তা মজুত ছিল না। স্যানিটারি ন্যাপকিন পেতে তাঁকে এক মহিলা টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন ওই দোকানের কর্মীরা। ওই ইন্টার্ন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য আমি তাঁর (মহিলা টেকনিশিয়ানের) কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকে তা পাওয়া যাবে। সেখানেও ছুটে যাই। সেখানে এক মহিলা সাফাইকর্মীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তবে তিনি জানিয়ে দেন যে, স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যাবে না।’
হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ওই ইন্টার্নের আর্জি, ‘স্যর, দিল্লি হাই কোর্ট চত্বরে ভেন্ডিং মেশিন বা অন্য কোনও ভাবে যাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়ার বন্দোবস্ত করানো যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দিল্লি হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল আদালত চত্বরে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর জন্য পদক্ষেপ করেছিলেন। যদিও সে উদ্যোগ যে ফলপ্রসূ হয়নি, তা এই ঘটনায় প্রমাণিত।