ফিরে অনেকেই দেখেন, বাড়ির কাচের জানলা ভেঙে চুরমার। —ছবি টুইটার থেকে।
সফল ভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়ডার যমজ অট্টালিকা। সে সময় আশপাশের বাড়ির পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একে একে ঘরে ফিরছেন বাসিন্দারা। ফিরে অনেকেই দেখেন, বাড়ির কাচের জানলা ভেঙে চুরমার। অনেক ফ্ল্যাটেরই দেওয়াল এবং থামে ফাটল ধরেছে।
উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড শব্দকেই দায়ী করেছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘উচ্চ শব্দের কারণে জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে। নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে বিস্ফোরণের আগে শব্দ দূষণের মাত্রা ছিল ৬৫ ডেসিবেল। বিস্ফোরণের সময় তা বেড়ে হয় ১০১ ডেসিবেল।’’ এই মাত্রায় মানুষ ততটা প্রভাবিত না হলেও জানলার কাচ ভেঙে যায়। শব্দ দূষণের মাত্রা ১১০ ডেসিবেল ছাড়ালে তা আমাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।
নয়ডা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, যমজ অট্টালিকায় বিস্ফোরণের সময় আশপাশের বাড়িগুলিতে বাসিন্দারা ছিলেন না। ফলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এ দিকে বাইরে বিস্ফোরণের কারণে বিপুল পরিমাণ গ্যাস এবং শব্দ তৈরি হয়েছে। বাড়ির ভিতর এবং বাইরে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে জানলার কাচগুলি ফেটে গিয়েছে। ওই এলাকায় এটিএস এবং এমারেল্ড আবাসনের ফ্ল্যাটগুলিতেই এই কাণ্ড হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রবিবার দুপুর ২টো৩০ মিনিটে উড়িয়ে দেওয়া হয় নয়ডার যমজ অট্টালিকা। এই নিয়ে ন’বছর ধরে মামলা চলেছিল।