বাজার থেকে তুলে নেওয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। ফাইল চিত্র।
খোলা বাজারে আজকাল দেখা যায় না তেমন। কিন্তু সিবিআই-ইডির তল্লাশি অভিযান হলেই মেলে থরে থরে! শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট কিংবা দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডের আইএএস আধিকারিক পূজা সিঙ্ঘলের বাড়ির মতো অনেক জায়গা থেকেই উদ্ধার হয়েছে রাশি রাশি গোলাপি রঙের ২,০০০ টাকার নোট।
এই নোট যে কালো টাকা মজুত করতে ব্যবহারের পাশাপাশি দেদার জাল করা হচ্ছে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে তার স্পষ্ট বার্তা মিলেছে। ওই রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে উদ্ধার হওয়া মোট ‘জাল নোটের’র ৬০ শতাংশই ২,০০০ টাকার নোট। অঙ্কের হিসাবে ২০ কোটি ৪০ লক্ষের মধ্যে ১২ কোটি ১৮ লক্ষ!
কয়েক মাস পরেই নোটবাতিলের ছ’বছর পূর্ণ হতে চলেছে। সেই সময়ে বাজারে আসা দু’হাজার টাকার নোট গত কয়েক বছরে ক্রমশই কমেছে। এখন আর তার প্রায় দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সালের পরে নতুন করে আর গোলাপি নোট ছাপানো হয়নি। তার পর জানা গিয়েছে, বাজার থেকে ওই নোট তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৯২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল। এই পরিমাণটা ২০১৯ সালে ছিল ২৫ কোটি ৩৯ লক্ষ। এর বেশিটাই ২,০০০ টাকার নোট বলেও দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে।
কালো টাকা মজুতের সম্ভাবনা কমানোর পাশাপাশি নোট জাল হওয়া ঠেকাতে ২,০০০ টাকা ধীরে ধীরে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ২০২০-র মার্চ মাসেই জল্পনা উস্কে দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রক। অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সে সময় লোকসভায় জানিয়েছিলেন, ২,০০০ টাকার নোট ছাপার কোনও বরাত দেওয়া হয়নি।