২০২৩ সালের মে মাস থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। — ফাইল চিত্র।
আবার উত্তপ্ত মণিপুর। অভিযোগ, রবিবার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক মহিলা। তাঁর মেয়েও জখম হয়েছেন। সূত্রের খবর, দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
সূত্রের খবর, রবিবার দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ কাঙ্গপোকপির নাখুজাঙ গ্রামে শুরু হয় গোলাগুলি। স্থানীয় এক বাসিন্দা দাবি করেছেন, ইম্ফল পশ্চিমের কাদাঙ্গবন্দে একটি বাড়ির উপর বোমা ফেলা হয়েছে। ড্রোনে করে সেই বোমা ফেলা হয়। একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাড়ির উপর বোমা ফেলছে ড্রোন। তার পরেই দৌড়ে পালাচ্ছেন লোকজন। যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই দাবির সত্যতা তারা এখনও যাচাই করেনি। সূত্রের খবর, কাদাঙ্গবন্দে স্থানীয়েরা বাড়ির সামনে পাহারা দিতে শুরু করেছেন।
মৃতের নাম এনগাঙ্গবাম সুরবালা। তাঁর বয়স ৩১ বছর। কাঙ্গপোকপির বাসিন্দা মহিলাকে সেখান থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে রিজিয়োনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, কাঙ্গপোকপি কুকি-অধ্যুষিত এলাকা। ইম্ফল পশ্চিমে মেইতেইদের সংখ্যা বেশি। মেইতেইদের দাবি, ‘কুকি জঙ্গি’-রা ওই মহিলাকে খুন করেছেন। কুকি জনজাতির মানুষজন সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, কাঙ্গপোকপির কুকি গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল প্রথম মেইতেইরাই। উভয় পক্ষই দাবি করেছে, অন্য পক্ষ প্রথম গুলি চালিয়েছে। ড্রোনে করে বোমা ফেলার ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে পুলিশ বা প্রশাসন এই নিয়ে নীরব।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। প্রাণ গিয়েছে শতাধিক মানুষের। ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ।