এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাস্তার ধার থেকে ভিক্ষুক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক অটোচালক-সহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে। খাবারের লোভ দেখিয়ে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় জোর করে তার গর্ভপাতও করিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে শুক্রবার।
হরিয়ানার ফরিদাবাদের ঘটনা। জেলা শিশু সুরক্ষা বিভাগের এক কর্মীর কাছ থেকে খবর পেয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদে রাস্তার ধারে ভিক্ষা করত ১৬ বছরের ওই কিশোরী। তার বাড়িতে রয়েছেন মদ্যপ বাবা এবং ছোট ভাই। ভিক্ষা করে যা আয় হত, তা দিয়েই তিন জনের পেট চালাত কিশোরী। তার পরিচিত এক অটোচালক প্রায়ই তাকে খাবার দিতেন, জানতে পেরেছে পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গেও তিনি জড়িত।
কিছু দিন আগে কিশোরী তার ভাইকে খুঁজে পাচ্ছিল না। অভিযোগ, ভাইকে খুঁজে দেওয়া এবং কিশোরীকে খাবার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অটোচালক। কিশোরী অটোয় উঠে বসলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বাড়িতে। সেখানেই অটোচালক এবং তাঁর এক সঙ্গী মিলে কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। এর পর এক প্রতিবেশীও তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা কাউকে না-জানানোর কথা বলে তিন জনই কিশোরীকে হুমকি দেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে কিশোরীকে আবার ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর তার গর্ভপাত করানো হয়। কিন্তু গর্ভপাতের ধকলে কিশোরীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। তখনই খবর পৌঁছয় শিশু সুরক্ষা দফতরে। ওই দফতরের কর্মী প্রদীপ কুমার তিন অভিযুক্তের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কিশোরীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। তার পরেই শুক্রবার তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। যোগ হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারাও। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।