— প্রতীকী ছবি।
একত্রবাসের সঙ্গীর নাবালক ছেলে পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিল। ঘর বাঁধতে তাই নাবালককেই সরিয়ে দিলেন মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, একত্রবাসের সঙ্গীর নাবালক ছেলেকে খুন করে বিছানার তলায় লুকিয়ে রাখার ঘটনায় ২৪ বছর বয়সি এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, নাবালক ছেলের কারণেই বিবাহবিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হচ্ছে না সঙ্গীর, সেই রাগেই খুনের মতো চরম পদক্ষেপ।
২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পূজা কুমারী এবং জিতেন্দ্র একটি মন্দিরে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই বিয়ে আদালতে গ্রাহ্য হয়নি। কারণ, জিতেন্দ্র আগেই বিবাহিত। তিনি বিবাহবিচ্ছেদ পাননি তখনও। যদিও পূজা এবং জিতেন্দ্র একসঙ্গেই থাকছিলেন। পূজা মনে করতেন, জিতেন্দ্রের নাবালক ছেলের কারণেই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে না। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ কয়েক বার ঝামেলাও হয়। ঝামেলার জেরে গত বছরের শেষ দিকে জিতেন্দ্র পূজাকে ছেড়ে আবার নিজের স্ত্রী, সন্তানের কাছে ফিরে যান। তাতে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন পূজা। শেষ পর্যন্ত জিতেন্দ্রর নাবালক ছেলেকে খুনের পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার দিল্লির বিএসকে হাসপাতাল থেকে খবর আসে, একটি ১১ বছরের নাবালককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর পরেই তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করা হয়। দেখা যায়, ওই বাড়িতে শেষ বার প্রবেশ করেছিলেন পূজা। তার পরেই পূজাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে তিনি কবুল করেন, জিতেন্দ্রর নাবালক সন্তানকে তিনিই খুন করেছেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ বিছানার তলায় থাকা বাক্সে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন।