ছবি: সংগৃহীত।
আয়েষ করে খাওয়ার আইসক্রিমে বিছে! অনলাইনে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের আইসক্রিমের বাক্স অর্ডার করার পরে এমনই অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। অভিযোগ শুনে তদন্তও করলেন। পৌঁছে গেলেন খাস আইসক্রিমের মজুত ঘরে।
শনিবারই প্রকাশ্যে এসেছিল আইসক্রিমের বাক্সে বিছে পাওয়ার ওই ভিডিয়ো। তাতে দেখা গিয়েছিল আইসক্রিমের বাক্সের ঢাকনায় আইসক্রিম গায়ে মেখে আটকে রয়েছে একটি কালো রঙের বিছে। নয়ডার এক মহিলা ওই ভিডিয়ো করে জানিয়েছিলেন তিনি অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী এক সংস্থা মারফত ওই চিঁড়ে, শুকনো খাবার, বিস্কুট এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি ওই আইসক্রিমও অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু বাক্স খুলতেই দেখতে পান বিছে।
সম্প্রতি আইসক্রিমে কাটা আঙুল পাওয়ার একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের সেই ঘটনার পর এ বার নয়ডায় আইসক্রিমে পাওয়া গেল বিছে। সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিয়ো দেখে খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর অভিযোগ নিয়ে পৌঁছে যান ওই অনলাইন সরবরাহকারী সংস্থার মজুতঘরে।
খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা রবিবার জানিয়েছেন, নয়ডায় ওই সংস্থার মজুতঘরে তাঁরা ওই সংস্থার আইসক্রিম কোথায় মজুত করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে সেখানে অত্যন্ত ধুলো ময়লায় ভরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার মজুত করা ছিল বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে।