গত ১৭ মে বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করেছিলেন বিধায়ক এবং তাঁর প্রেমিকা। প্রতীকী ছবি।
নিজের বিয়েতেই সময়মতো হাজির হতে পারলেন না ওড়িশার বিজেডি বিধায়ক শঙ্কর দাস। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করলেন প্রেমিকা।
তিরতোলের বিজেডি বিধায়ক শঙ্কর। শুক্রবার রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার কথা ছিল তাঁর। প্রেমিকা সময়মতো রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিধায়কের আর দেখা নেই। অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেন প্রেমিকা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিধায়কের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ১৯৫এ (মিথ্যা প্রমাণ দেওয়ার জন্য হুমকি), ২৯৪ (অশ্লীল আচরণ), ৫০৯ (মহিলার সম্মানহানি), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩৪১ (অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়া) এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
গত ১৭ মে বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে আবেদন করেছিলেন বিধায়ক এবং তাঁর প্রেমিকা। ১৮ মে শুক্রবার রেজিস্ট্রি করার কথা ছিল। পরিবারের সঙ্গে সময়মতো রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির হন প্রেমিকা। কিন্তু বিধায়ক শঙ্করের দেখা মেলেনি। আর তাতেই বেজায় চটে যান প্রেমিকা।
তাঁর দাবি, বিধায়কের সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বিধায়ক। এবং নির্ধারিত দিনেই রেজিস্ট্রির কথা ছিল। মহিলার অভিযোগ, বিধায়কের ভাই এবং পরিবারের সদস্যরা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিলেন। ফোন করলেও বিধায়ক ধরছেন না। তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “বিয়ে করতে তো অস্বীকার করিনি! রেজিস্ট্রির জন্য আরও ৬০ দিন হাতে সময় আছে। সে কারণেই আমি যাইনি। ওঁরা যে শুক্রবারই রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির হবেন, সে বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি।”