দানাপুরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন। জেহানাবাদে ট্রাক পুড়ছে। ছবি: পিটিআই।
অগ্নিপথ বিক্ষোভে শুধু বিহারেই রেলের ক্ষতি হয়েছে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। রেল সূত্রে খবর, গত চার দিনে ৬০টি ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ১১টি ইঞ্জিন। শুধু তাই-ই নয়, বিভিন্ন স্টেশনে ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে রেলের বহু সম্পত্তি নষ্ট করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সেই হিসেব মেলালে ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটিরও বেশি হবে বলে জানিয়েছে রেল।
রেল সূত্রে খবর, এক একটি সাধারণ কামরা বানাতে খরচ পড়ে ৮০ লক্ষ টাকা। স্লিপার এবং এক একটি এসি কামরা তৈরি করতে খরচ হয় যথাক্রমে সওয়া এক কোটি এবং সাড়ে তিন কোটি। ট্রেনের এক একটি ইঞ্জিন বানাতে খরচ পড়ে ২০ কোটি টাকা। ১২ কামরার একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বানাতে সরকারকে খরচ করতে হয় ৪০ কোটি টাকা। আবার ২৪ কামরার একটি ট্রেন তৈরিতে খরচ হয় ৭০ কোটিরও বেশি।
পূর্ব-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, গত চার দিনে রেলের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেই হিসাব এখনও পুরোপুরি করা হয়নি। তবে মোটের উপর ৭০০ কোটির বেশি রেলের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, “পাঁচটি ট্রেন, ৬০টি কামরা এবং ১১টি ইঞ্জিন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কত ক্ষতি হয়েছে পুরোপুরি সেই তথ্য এখনও হাতে আসেনি। তবে সেই ক্ষতির পরিমাণ যে আরও বেশি হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।”
বীরেন্দ্র কুমার আরও জানান, রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার পাশাপাশি যে ভাবে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, যে ভাবে বিপুল সংখ্যায় ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে, সেই ক্ষতির পরিমাণও অনেক। ৬০ কোটি যাত্রী এই পরিস্থিতির জন্য টিকিট বাতিল করেছেন। ট্রেন বাতিল, রেললাইনের ক্ষতি করা, রেলের সম্পত্তি নষ্ট— সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে পুরোপুরি রিপোর্ট এলেই তা স্পষ্ট হবে। তবে সেই অঙ্কের পরিমাণ যে আরও কয়েক গুণ বেশি হবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই বলেই মত রেল আধিকারিকদের।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।