এমনই একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েছিলেন মহিলা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্বামী এবং পুত্রদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে ৬০ ফুট উঁচু বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে হুলস্থুল বাধালেন ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়া। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ মে প্রাক্তন কাউন্সিলর বিজেন্দর শর্মার ভাইদের মারধরের অভিযোগে সতবীর ভাটি এবং তাঁর পুত্রদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়। এই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত সতবীরকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সতবীর এবং তাঁর পুত্রদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব বিজেন্দর। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণস্থলের কাছে সেক্টর ২৯ এলাকায় একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন সতবীরের স্ত্রী। তবে ওই খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।
রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থার এক নিরাপত্তারক্ষী ওই প্রৌঢ়াকে প্রথমে দেখতে পান। তার পরই তিনি সংস্থার সুপারভাইজারকে খবর দেন। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে যায় দমকল। মাইক নিয়ে মহিলাকে নীচে নামানোর চেষ্টা চালায় পুলিশ। এফআইআর থেকে স্বামী এবং পুত্রদের নাম বাদ দিতে হবে, তা না হলে তিনি নামবেন না— এমন দাবিতে অনড় থাকেন প্রৌঢ়া। পরে দমকলের কর্মীরা খুঁটিতে উঠে নীচে জাল বেছান। সেই সময় মহিলাকে তাঁর পরিজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলানো হয়। তার পরই দড়ির সাহায্যে প্রায় ২ ঘণ্টা পর প্রৌঢ়াকে খুঁটি থেকে নীচে নামান দমকলকর্মীরা।
গত মাসে উত্তরপ্রদেশের কানপুরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। স্বামীকে খুনের অভিযোগে ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে জলের ট্যাঙ্কের উপরে উঠে পড়েছিলেন স্ত্রী। পরে স্বামীকে খুনের অভিযোগে ওই মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনার কথা মনে করিয়েছে বলিউডের বিখ্যাত ছবি ‘শোলে’র কথা। ছবিতে বাসন্তীকে (হেমা মালিনী অভিনীত) বিয়ে করার জন্য জলের ট্যাঙ্কে উঠে দাবি জানিয়েছিল বীরু (ধর্মেন্দ্র অভিনীত)।