স্ত্রীকে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত।
সন্দেহ করতেন স্বামী! অভিযোগ, সন্দেহের বশে স্ত্রীকে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘরে আটকে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। এমনকি বাইরে শৌচকর্ম করতেও যেতে দিতেন না। যদিও মহিলার দাবি, বিয়ের পর থেকে গত ১২ বছর ধরে ওই ঘরে আটকে রেখেছিলেন স্বামী। কর্নাটকের মাইসুরুর ঘটনা।
সুমা নামে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামীর নাম সান্নাইয়া। তিনি শ্রমিক। সুমা তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের শৌচালয়টি বাড়ির বাইরে রয়েছে। সেখানেও তাঁকে যেতে দিতেন না তাঁর স্বামী। শৌচকর্মের জন্য বাক্স ব্যবহার করতে বাধ্য করতেন। ওই মহিলার দুই সন্তানও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল থেকে ফিরে বাচ্চারা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত। ঘরে ঢুকতে পারত না। স্বামী বাড়ি ফিরে তালা খুলে দিলে তারা ঘরে ঢুকত।’’
এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, ওই মহিলার স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে ‘নিরাপত্তাহীনতা’য় ভোগেন। পুলিশ কর্মীর কথায়, ‘‘গত দু’-তিন সপ্তাহ ধরে মহিলাকে আটকে রাখা হয়েছে। এর আগে তিনি মাঝেমধ্যে বাপের বাড়ি যেতেন।’’ সুমা যদিও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেবেন।