ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। প্রতীকী ছবি।
পণ না দেওয়ায় মহিলাকে বিদ্যুতের শক দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মহিলার ঝুলন্ত দেহ। অভিযোগ, ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন, এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই খুনের পর তাঁর দেহ সিলিং ফ্যানে ঝোলানো হয়েছে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ঢেঙ্কানল জেলায়।
রবিবার পোড়াপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁকে বিদ্যুতের শক দিয়ে খুনের পর দেহ সিলিং ফ্যানে ঝোলানো হয়েছে। নিহত মহিলার নাম সাহারিকা মাহাকুদ। ২০২১ সালের ৭ জুলাই তাঁর সঙ্গে রথিকান্ত ভুটিয়া নামে এক যুবকের বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় গয়না-সহ নগদ টাকা পণ হিসাবে রথিকান্তকে দেয় সাহারিকার পরিবার। অভিযোগ, বিয়ের পর আরও পণের দাবিতে সাহারিকার উপর তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা অত্যাচার চালাতেন। পরিকল্পিত করে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা।
যদিও মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাহারিকার শাশুড়ি চম্পা ভুটিয়া বলেছেন, ‘‘কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই। ও আত্মহত্যা করেছে। আমরা কোনও অত্যাচার করিনি।’’ এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলার বাপের বাড়ির সদস্যরা। এসডিপিও সূর্যমণি প্রধান জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।