স্থানীয় বিধায়ককে চিঠি দিলেও তিনি জবাব দেননি। ফাইল চিত্র।
স্কুলে যেতে হয় অনেকখানি রাস্তা পায়ে হেঁটে। গ্রামের দীর্ঘ পথ শেষে বড় রাস্তা ধরে কিছুটা গিয়ে তার পর স্কুল। গ্রামে যান চলাচলের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সে ভাবেই যাতায়াত করে। দু’সপ্তাহ আগে এই সমস্যার কথা জানিয়েই স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছিল গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। ১৪ দিন পর তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেল গ্রাম থেকে স্কুলে যাওয়ার বড় রাস্তায়। একটি গাড়ি পিষে দিয়ে চলে গিয়েছে ১৪ বছরের ওই কিশোরকে।
কর্নাটকের বেলাগাভী জেলার ঘটনা। ওই কিশোরের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিধায়কের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ছেলেমেয়েদের ঝুঁকির কথা জানিয়ে বহু দিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গ্রামের পথে নিয়মিত যান চলাচলের সুবিধা করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি প্রশাসন। এমনকি নিহত কিশোর স্থানীয় বিধায়ককে এ ব্যাপারে চিঠি দিলেও তিনি সেই চিঠির জবাব দেননি। কিশোরের মৃত্যুতে তাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সড়কপথ অবরোধ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তারা।
কর্নাটকের ওই গ্রামটির নাম শিবানূর। গত রবিবার সেই গ্রামের কিশোর আক্কাভা হুলিকাট্টির গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়। দু’সপ্তাহ আগে বিধায়ক স্থানীয় দোড্ডাগৌড়ার মহন্তেশকে চিঠি দিয়ে আক্কাভা লিখেছিলেন, গ্রামের ছাত্রদের স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে যেন তিনি গ্রামের রাস্তায় গাড়ি চলাচলের বন্দোবস্ত করেন।