একটি কাগজে স্বামী লিখেছেন সপ্তাহে এক দিন পরিমিত পরিমাণে মদ্যপান করবেন। —প্রতীকী চিত্র।
মদ্যপান করে বাড়ি ফেরা এবং স্ত্রীকে মারধর, ঝগড়া এবং অশান্তি। এমনই ছিল যুবকের রোজকার ‘রুটিন’। তবে স্ত্রীর বুদ্ধির কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হল তাঁকে। ছাড়তে হল খারাপ অভ্যাস। চিকিৎসককে সাক্ষী রেখে ‘চুক্তি’তে সই করলেন যুবক। স্ত্রীর এমন বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারলেন না চিকিৎসকেরাও। উত্তরপ্রদেশের আগ্রার ঘটনা।
একাধিক সংবাদমাধ্যমকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, রোজ রাতে মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরতেন স্বামী। প্রতি দিন এ নিয়ে অশান্তি হত তাঁদের মধ্যে। স্বামী ঘরে ঢুকে জিনিসপত্রও ভাঙচুর করতেন। সকাল হলে মাফ চাইতেন। সন্ধ্যায় আবার সেই একই ঘটনা। এই ভাবে চলছিল। কী ভাবে স্বামীকে মদ থেকে দূরে রাখা যায় এ নিয়ে ভাবতে একটি বুদ্ধি বার করেন তিনি।
মহিলা জানান, এক দিন রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন স্বামী। কিন্তু তাঁকে দেখে স্বামীর মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। দেখেন স্ত্রীও মাতলামি করছেন। ঠিক যে ভাবে তিনি রাগের চোটে মদের বোতল ভেঙে ফেলেন, গায়ে হাত তোলেন, একই কাজ করছেন স্ত্রী-ও!
এই ভাবে কয়েক দিন ধরে স্বামী ঘরে ফিরে দেখেন মাতলামো করছেন। কয়েক দিন পর তিনি শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে অভিযোগ জানান। দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা। দুই পরিবারই পড়ে চিন্তায়। শেষে ঠিক হয় স্বামী-স্ত্রী, দু’ জনেই কাউন্সেলিং করাবেন।
এর পর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন স্ত্রী। তিনি জানান, মদ্যপান তো দূরের কথা, কোনও দিন মদ ছুঁয়েও দেখেননি। স্বামীর মাতলামি বন্ধ করতে মাতালের নাটক করা শুরু করেন তিনি। সব শুনে থ হয়ে যান স্বামী। মহিলার বুদ্ধির তারিফ করেন চিকিৎসক। এর পর তাঁর সামনেই সন্ধি হয় স্বামী-স্ত্রীর। একটি কাগজে স্বামী লিখেছেন সপ্তাহে এক দিন পরিমিত পরিমাণে মদ্যপান করবেন। আর বাড়ি ঢুকে অশান্তি নৈব নৈব চ।