স্বামীকে খুন করে শৌচাগারের ট্যাঙ্কে ভরলেন স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। — প্রতীকী ছবি।
স্বামীকে খুন করে বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কে ভরলেন স্ত্রী। আর এ কাজে সাহায্য নিলেন প্রেমিকের। তার পর দুই সন্তান নিয়ে সেই বাড়িতেই দিব্য থাকলেন এক মাস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে দোষ কবুল স্ত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের সংগ্রুর জেলায়। পুলিশ জসবীর কউর ও তাঁর প্রেমিক সুরজিৎ সিংহ বগ্গাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বকশীওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা জয়বীর ও অমৃক সিংহ। তাঁদের দুই সন্তানের বয়স যথাক্রমে ১৩ এবং ১১। জসবীরের সঙ্গে সুরজিতের প্রেমের সম্পর্ক। দু’জনে মিলে ছক কষেন অমৃককে সরানোর। সেই মতো, গত ২৭ অক্টোবর রাতে মুরগির মাংসের সঙ্গে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন অমৃককে। সেই মাংস খেয়ে অমৃত যখন বেহুঁশ হয়ে পড়েন, তখন সুরজিতের সাহায্য নিয়ে জসবীর অমৃকের গলায় ফাঁস দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলেন। তার পর দু’জনে মিলে দেহ ভরে দেন বাড়ির পায়খানার ২৫ ফুট গভীর ট্যাঙ্কে।
তার পর ওই বাড়িতেই দুই সন্তানকে নিয়ে দিনের পর দিন থাকছিলেন। কয়েক দিন আগে জসবীর স্বামীর নিখোঁজ ডায়েরি করেন থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে রহস্য জটিল হয়ে ওঠে জসবীরের একাধিক অসংলগ্ন বয়ানে। আরও গভীরে ঢুকে পুলিশ জানতে পারে জসবীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ওই পাড়ারই সুরজিতের। জসবীরকে জেরা শুরু করে পুলিশ। তখনই পুলিশের সামনে ভেঙে পড়ে তিনি জানান গোটা ঘটনা।
শনিবার জসবীর ও সুরজিৎকে অকুস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। বাড়ির পায়খানার ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় অমৃতের পচাগলা দেহ।