এলপিইউ-র ক্যাম্পাসটি ৩০০ একর জমিতে বিস্তৃত। যা কোনও ছোট খাটো টাউনশিপের থেকে কম নয়। শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেখানে।
Education

কেন বাংলা তথা ভারতের ছাত্র ছাত্রীরা বার বার এলপিইউ-কেই বেছে নেয়

এলপিইউ-র ক্যাম্পাসটি ৩০০ একর জমিতে বিস্তৃত। যা কোনও ছোট খাটো টাউনশিপের থেকে কম নয়। শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেখানে।

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১ ১৭:০৫
Share:

মানুষের সাধারণ প্রবৃত্তিই হল সেরা জিনিসটা বেছে নেওয়া। সেই কারণেই শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই নয়, গোটা বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্ত থেকেই শিক্ষার্থীরা লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে আসেন। পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতের শিক্ষার্থীদের এলপিইউ-তে পড়তে আসার পিছনে বহু কারণ রয়েছে। প্রথমত, এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। দুর্দান্ত শিক্ষাবিদ থেকে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ, বিশ্বমানের ক্যাম্পাস থেকে নিরাপদ পরিবেশ, প্লেসমেন্টের মাধ্য়মে চাকরি থেকে বিদেশ পড়ার সুযোগ, এলপিইউ-তে সেই সমস্ত কিছুই রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে।

টাইমস হায়ার এডুকেশন ইমপ্যাক্ট ব়্যাঙ্কিং ২০২১ অনুযায়ী বিশ্বের ২০০টি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছিল, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি সেগুলির মধ্যে একটি। পথ চলার শুরুতেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেতাব ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে এটি ছাপিয়ে গিয়েছে। এই প্রতিবেদন সেই সমস্ত কারণগুলিকে তুলে ধরবে যে কারণগুলির জন্য শিক্ষার্থীরা এলপিইউ-কে বেছে নেন।

পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সংযোগ

পড়াশুনার সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি, এলপিইউ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের পরিকাঠামো ও প্রথম থেকেই ইন্ডাস্ট্রির রূপরেখা তৈরি করে দেয়। গুগল, সিসকো, ওরাকেল, মাইক্রোসফটের মতো শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রের শিরোপা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করার পাশাপাশি বাস্তব জগতে বড় সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি প্রোজেক্টে কাজ করার ও শেখার সুযোগ পায়। যা শিক্ষার্থীদের সমসাময়িক ট্রেন্ডগুলি বুঝতে সাহায্য করে। ভারতে এমন বিশ্ববিদ্যালয় খুবই কম আছে যারা শিক্ষার্থীদের এভাবে তৈরি করে ও যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা পেতে পারে।

অভাবনীয় প্লেসমেন্ট রেকর্ডের ট্রেন্ড

ভারতবর্ষের মধ্যে এলপিইউ-র সব থেকে সেরা প্লেসমেন্ট রেকর্ড রয়েছে। এবং সেই কারণেই শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসতে চান। গুগল থেকে মাইক্রোসফট, এলপিইউর প্রাক্তনীরা ১ কোটির বা তার থেকেও বেশি প্যাকেজে শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে কাজ করছে।

২০২০-র পাশ আউট ছাত্রী তনয়া অরোরার কথা শুনুন, যিনি মাইক্রোসফটে ৪২ লক্ষ টাকার প্যাকেজে কাজ করছেন। গোটা ভারতে ফ্রেশার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য এই পরিমাণ বেতন নজিরবিহীন।

বছরে ১৪০০-রও বেশি ব্র্যান্ড শিক্ষার্থীদের নিয়োগের জন্য এলপিইউ-তে আসে। যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই এমএনসি। প্রায় ১১০-রও বেশি সংস্থা যারা আইআইটি, আইআইএম, এনআইটি থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করে, তারা এলপিইউ থেকও নিয়োগ করে। গত তিন বছরে, কগনিজেন্ট একাই ৩৩০০-রও বেশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট দিয়েছে। যার ফলে এলপিইউ পর পর দু'বছর "অ্যাসপায়ারিং মাইন্ডস"এর কাছ থেকে 'সর্বোচ্চ চাকুরিরত শিক্ষার্থী'র তকমা পেয়েছে।

শুনুন এলপিইউ-র শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে কী বলছেন

অ্যাডমিশন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন:___________

দুর্দান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং আবাসিক সুবিধা

৪০০-রও বেশি সুরক্ষা আধিকারিক এবং ১০০০-রও বেশি ক্যামেরার সঙ্গে এলপিইউ ভারতের সব থেকে সুরক্ষিত ক্যাম্পাস। সুরক্ষার খাতিরে প্রায় ৪০০০-রও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা দিনরাত নিয়মিত দেখা হয়।

ক্যাম্পাসের হোস্টেল ব্যবস্থাতেও বেশ বৈচিত্র রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো এসি বা কুলারের সুবিধা সহ একা একটি ঘর নিতে পারে বা অন্যের সঙ্গে ঘর ভাগ করেও নিতে পারে। এই ক্যম্পাস সম্পূর্ণ মাদক মুক্ত। অ্যালকোহল এবং ড্রাগের ব্যবহার এখানে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হয় না। ক্যাম্পাসের ভিতরে ব়্যাগিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পাশাপাশি নির্দেশিত অনুশাসনে ব্যঘাত হলে বিশ্ববিদ্যালয় কড়া পদক্ষেপ করে থাকে।

এই কারণগুলির জন্য অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের কয়েকশ মাইল দূরে এলপিইউ-তে পড়াশুনা করতে পাঠাতেও দ্বিধাবোধ করেন না। কারণ তাঁরা জানেন, তাঁদের সন্তান সুরক্ষিত রয়েছে।

বিশ্বমানের পরিকাঠামো

এলপিইউ-র ক্যাম্পাসটি ৩০০ একর জমিতে বিস্তৃত। যা কোনও ছোট খাটো টাউনশিপের থেকে কম নয়। শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেখানে। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে গবেষণার জায়গা, ডেভেলপমেন্ট ব্লক, আইম্যাক ল্যাব, অন-ক্যাম্পাস শপিং মল, অন-ক্যাম্পাস হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, ইনোভেশন স্টুডিয়ো, ইনকিউবেশন সেন্টার, পরীক্ষার জন্য বড় ওয়ার্কশপ, দেশের বৃহত্তম ইনডোর স্পোর্টস এরিনা, সুইমিং পুল, এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গই হোক বা অন্যান্য রাজ্য, বাড়ি থেকে দূরে থাকলেও শিক্ষার্থীরা তাদের স্থানীয় খাবার সমানভাবেই উপভোগ করতে পারবেন এখানে।

আমেরিকা, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার সুযোগ

আন্তর্জাতিক স্তরে শ্রেষ্ঠত্বের লক্ষ্যে, এলপিইউ প্রায় বিদেশের ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত রেখেছে শিক্ষার্থীদের রেফারেল প্রোগ্রামের জন্য। এলপিইউ-র আন্তর্জাতিক বিভাগের সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারে। পাশাপাশি এলপিইউ-র একটি প্রোগ্রাম রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা ২ বছর এলপিইউ-তে পড়াশুনার পরে বাকি ২ বছর বিদেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশুনা করে আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা বিদেশ যেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ।

অ্যাডমিশনের বিষয়ে বিশদে জানতে ভিজিট করুন -

ফি এবং স্কলারশিপ

এলপিইউ বিশ্বাস করে যে অর্থের জন্য যেন কোনও শিক্ষার্থীর ভাল জায়গায় পড়াশুনা বন্ধ না হয়। অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যাগুলির তুলনায় এলপিইউ-র ফি স্ট্রাকচার অত্যন্ত কম এবং তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ পেতে পারেন।

ন্ট্রপ্রনারশিপ সেল

চাকরির সন্ধানের পরিবর্তে যদি আপনি চাকরির সুযোগ তৈরি করতে চান, তবে তার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। এলপিইউ-র নিজস্ব একটি স্টার্ট আপ স্কুল এবং ইনকিউবেশন সেন্টার রয়েছে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অন্ট্রপ্রনারশিপের প্রতিভাকে লালন করার জন্য অফিস স্পেস, আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম এবং প্রাথমিক মূলধন দেয়। এলপিইউ স্টার্ট আপ স্কুলের সহায়তায় ইতিমধ্যেই ১০০-রও বেশি স্টার্ট আপ লঞ্চ হয়েছে। কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এত কিছু সুবিধা পাওয়ার কারণেই শিক্ষার্থীরা সব সময়েই এলপিইউকেই বেছে নিয়েছে।

অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া

ইতিমধ্যেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে অতিমারীর কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই, এলপিইউ তাদের অনলাইন প্রক্টরড LPUNEST পরীক্ষার সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘরে বসেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দ মতো পরীক্ষার তারিখ ও সময় বেছে নিয়ে অনলাইনেই স্লট বুকিংয়ের সুযোগ থাকছে। LPUNEST - পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ পেতে পারে। যে সকল শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে, তারা দশম শ্রেণির ফলাফলের ভিত্তিতে অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে।

অ্যাডমিশনের বিষয়ে বিশদে জানতে ভিজিট করুন -

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন