Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

কেন দেরি হচ্ছে? আটকে পড়া শ্রমিকদের বার করতে সুড়ঙ্গে ঢুকে কী কী বাধা পাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা?

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তা সম্ভব হয়নি। সুড়ঙ্গে আরও কিছুটা দূরত্ব অতিক্রম করা বাকি আছে উদ্ধারকারীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

উত্তরকাশী শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০:১৮
Share:

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে। — ফাইল চিত্র।

উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বার করে আনতে দেরি হচ্ছে। বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়। সুড়ঙ্গের ভিতরে বুধবার রাতেই ঢুকে পড়েছিলেন ২১ জন উদ্ধারকারী। তাঁরা সকলেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য। মনে করা হয়েছিল, বুধবার রাতেই মিলবে সুখবর। বেরিয়ে আসবেন শ্রমিকেরা। কিন্তু রাতে বেশি দূর এগোনো যায়নি। ১২ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে গিয়ে ১০ মিটার বাকি থাকতে আবার থেমে যায় ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার কাজ।

Advertisement

এর পর সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা হবে। কিন্তু তা-ও করা যায়নি। এখনও কয়েক মিটার খোঁড়া বাকি আছে। কেন বার বার দেরি হচ্ছে? সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকে কী কী সমস্যায় পড়ছেন উদ্ধারকারীরা?

সুড়ঙ্গে ধস নামার ফলে প্রায় ৬০০ মিটার ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে পড়েছিলেন শ্রমিকেরা। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে খুঁড়ে সেই দূরত্ব কমানোর চেষ্টা চলছে। যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তার ভিতরে পাইপ ঢোকানো হচ্ছে। পাইপের ভিতর দিয়েই উদ্ধারকারীরা গভীরে প্রবেশ করছেন। সেখান দিয়েই বার করে আনা হবে শ্রমিকদেরও। এই পাইপ ঢোকাতেই বার বার বাধা আসছে।

Advertisement

বুধবার রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে আচমকা সামনে চলে আসে লোহার রড। খননযন্ত্র দিয়ে তা সরানো যায়নি। ফলে উদ্ধারকাজ বাধা পায়। রড কেটে রাস্তা ফাঁকা করতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানানো হয়। রডটি কাটতেই বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। এ ছাড়াও, এক বার কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। টানা খুঁড়তে খুঁড়তে যন্ত্র অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠেছিল। ফলে তা ঠান্ডা করার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগে।

বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, অবশেষে লোহার রডটি কেটে সরানো গিয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের দূরত্ব আর মাত্র ছ’মিটার। ফলে এ বার দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সকলে।

আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র দিয়ে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে। গত ১২ দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪১ জন। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের কাছে খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানো হচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখছেন উদ্ধারকারীরা। পাইপের মাধ্যমে পরিজনের সঙ্গে কথাও বলছেন তাঁরা।

সুড়ঙ্গের বাইরে উদ্ধারের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুধবার রাত থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে বার করার পর প্রয়োজন হলে শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলেও অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে তৈরি আছে ৪১টি ‘বেড’। যে কোনও রকম জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত উদ্ধারকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement