Post-Poll Violence 2021

ভোট পরবর্তী হিংসা ২০২১: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুনতে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ

হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। আদালতের ওই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩২
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজ্যে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলায় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলা শুনবে নতুন বৃহত্তর বেঞ্চ। এই বেঞ্চে হাই কোর্টের দুই প্রবীণ বিচারপতিকে যুক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

আদালতের আগেকার নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি এই অভিযোগ তুলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে। বৃহত্তর বেঞ্চে সেই মামলাটির শুনানি করবে। বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হাই কোর্টের তরফে পাঁচ জন বিচারপতির নাম জানানো হয়। বৃহত্তর বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী।

আগের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তৎকালীন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এখন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। অবসর নিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। তাঁদের জায়গায় এখন বৃহত্তর বেঞ্চে অন্য দুই বিচারপতিকে যুক্ত করা হল। এর মধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার বৃহত্তর বেঞ্চে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি টন্ডন এবং বিচারপতি সেন আগেই ছিলেন। এখন আদালত অবমাননার মামলাতে বিচারপতি দাশ এবং বিচারপতি চক্রবর্তীকে যুক্ত করলেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

Advertisement

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন পরে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই বছর ১৯ অগস্ট ওই মামলাগুলিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছিল, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে।

আদালতের ওই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি এই অভিযোগ তুলে গত ২৮ নভেম্বর হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জনস্বার্থ মামলার আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা যাঁদের সম্পত্তি হানি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুট, এবং ক্ষতি করেছে তাঁদের অভিযোগ জমা নিয়েছে রাজ্য ‘লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোর্টের নির্দেশ মেনে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।

আদালত অবমাননা করেছে রাজ্য। এর পরেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। রাজ্যের যুক্তি ছিল, কলকাতা হাই কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী যে বা যে সব বিচারপতির নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি, তাঁরাই আদালত অবমাননার মামলা শুনতে পারবেন। আগের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে দু’জন বিচারপতি কলকাতা হাই কোর্টে নেই। তাই পাঁচ বিচারপতির নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার শুনানি করা সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement