হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। —ফাইল চিত্র।
শুধু দিল্লি নয়, শনিবারের ভোটে ‘ভাগ্যনির্ধারণ’ হবে দেশের একটি অঙ্গরাজ্যেও। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেস নেতা সুখবিন্দর সিংহ সুখু থাকতে পারবেন কি না, তার স্পষ্ট বার্তা মিলবে ছ’টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে।
২০২২ সালে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে ওই ছ’টি আসনই কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল। সেই ভোটে জেতা ছ’জন সদ্যপ্রাক্তন বিধায়কই আবার ওই আসনগুলিতে প্রার্থী। তবে কংগ্রেস নয়, বিজেপির টিকিটে! তাঁরা হলেন, হলেন রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), রাজেন্দ্র রানা (সুজনপুর), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট) এবং দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)।
প্রসঙ্গত, দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া কংগ্রেসের বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন।
তার আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ওই ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন ‘সুখু সরকারের সমর্থক’ তিন নির্দলও। ক্রস ভোটিংয়ের ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়।
বরখাস্ত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের তরফে হিমাচল বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের পরেই গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ১ জুন হিমাচলের চারটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের সঙ্গেই ওই ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে।
৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় বর্তমানে ছ’টি আসন খালি। শাসক কংগ্রেসের রয়েছেন ৩৪ জন বিধায়ক। বিরোধী শিবিরে বিজেপির ২৫ এবং তাদের সহযোগী তিন জন নির্দল। অর্থাৎ, উপনির্বাচনে বিজেপি ছ’টি আসনে জিতে গেলে দু’পক্ষেরই বিধায়ক সংখ্যা হয়ে যাবে ৩৪! সে ক্ষেত্রে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে মুখ্যমন্ত্রী সুখুর ভবিষ্যৎ।