Sharjeel Imam

সাড়ে চার বছর পর জামিন পেলেন জেএনইউ পড়ুয়া শরজিল! আদালত বলল, ‘অর্ধেক সাজা হয়ে গিয়েছে’

ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষককে ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ পর্বে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি জেলবন্দি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ১৫:৩২
Share:

শরজিল ইমাম। — ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার শরজিল ইমামের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০২০ সালে দিল্লির হিংসার ঘটনায় ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষককে ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ পর্বে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর থেকেই তিনি জেলবন্দি।

Advertisement

সরকার পক্ষ জামিনের বিরোধিতা করলেও বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি মনোজ জৈনের বেঞ্চ তা খারিজ করে জানায়, ইতিমধ্যেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) রুজু মামলায় সম্ভাব্য সাজার অর্ধেক মেয়াদ জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন শরজিল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিল্লির করকরডুমা আদালত ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত জেএনইউ-র আর এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল।

তিন বছর আগে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভায় প্ররোচনামূলক বক্তৃতার মামলায় শরজিলকে জামিন দিয়েছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। কিন্তু দিল্লি হিংসায় ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত হওয়ায় সাড়ে চার বছর ধরে মুক্তি পাননি তিনি। ২০২০ সালে জেলবন্দি অবস্থাতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই কৃতী গবেষক।

Advertisement

শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা শরজিলের বিরুদ্ধে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ররোচনামূলক মন্তব্য এবং হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ছিল। কিন্তু ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছিলেন তাঁকে। জানিয়েছিলেন, শরজিলের বক্তৃতা ভারতীয় সংবিধান বর্ণিত ‘মত প্রকাশের অধিকার’কে লঙ্ঘন করেনি। প্রসঙ্গত, অসম, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন সিএএ বিরোধী সভায় রাষ্ট্রদ্রোহী ও প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল শরজিলের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement