আগামী রবিবার টুইন টাওয়ার ভাঙা হবে। ফাইল ছবি
মাত্র ৯ সেকেন্ড। নয়ডায় ৪০ তলার গগনচুম্বী টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিতে এই সময়টুকুই যথেষ্ট। আগামী রবিবার, ২৮ অগস্ট দুপুর আড়াইটের সময় রাজধানীর উপকণ্ঠে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে এই যমজ বহুতল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নয়ডার ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ার’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
এই জোড়া বহুতলের একটির নাম অ্যাপেক্স। উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির নাম সিয়ানে। তার উচ্চতা ৯৭ মিটার। এই যমজ টাওয়ার কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা। বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ ব্যবহার করে এই দুই বহুতল ভাঙা হবে বলে জানা গিয়েছে। নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে এখন জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
মুম্বই এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দু’টি সংস্থা যৌথ ভাবে ওই টাওয়ার দু’টি ভেঙে ফেলার কাজ করবে। এই দু’টি বহুতলে সব মিলিয়ে মোট ৯০০টি ফ্ল্যাট ছিল। মোট সাড়ে সাত লক্ষ স্কোয়ার ফিট এলাকা জুড়ে রয়েছে এই টুইন টাওয়ার। টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় বাস করে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। নির্দিষ্ট দিনে তাদের সকাল ৭টার মধ্যে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকেল ৪টের পর আবার তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রিত এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে বহুতল দু’টি ভাঙা হবে। ৩ হাজার ৭০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক পদার্থ এতে ব্যবহৃত হবে। ডিটোনেটর, শক টিউবের মতো বিস্ফোরক প্রবল শব্দ করে ফাটবে পর পর। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে মাত্র ৯ থেকে ১০ সেকেন্ড। ৫৫ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে এর থেকে। তার মধ্যে কিছুটা নিয়ে যাওয়া হবে নিকটবর্তী একটি ফাঁকা জায়গায়। বাকিটা রাখা হবে টুইন টাওয়ারের নীচের একটি গর্তে।
অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে নয়ডার এই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কাছেই অবস্থিত একটি হাসপাতালে রবিবারের জন্য ইতিমধ্যে ৫০টি বেড বুক করে রাখা হয়েছে। যদি এই ধ্বংসকার্যের সময় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার জন্যেই এই ব্যবস্থা। কারণ এত বড় বহুতল ভাঙার পর বিপুল ধুলো উৎপন্ন হবে, তাতে শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।