‘ডেনা’ উপকূলের দিকে এগোতেই ওড়িশায় উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। বাড়ছে হাওয়ার গতি। ছবি: সংগৃহীত।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র ভয়ে ত্রস্ত গোটা ওড়িশা। ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থলপতনের সম্ভাব্য জায়গার কথা উল্লেখও করেছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। আছড়ে পড়ার সময় গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। বর্তমানে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘ডেনা’। ধামারা থেকে ৩১০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে।
মৌসম ভবনের ভুবনেশ্বর আঞ্চলিক অফিসের তথ্য বলছে, এই ঝড়ের তাণ্ডব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায়। এই তিন জেলাতে তাই বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ‘ডেনা’র স্থলপতনের সময় এই তিন জেলায় ঝড়ের সম্ভাব্য গতিবেগ হতে পারে ১১০-১১০ কিলোমিটার।
রাজ্যের কোন কোন জোলায় কত গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে তারও একটি তথ্য দিয়েছে ভুবনেশ্বর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস। ওই অফিসের অধিকর্তা মনোরমা মোহান্তি জানিয়েছেন, ময়ূরভঞ্জ জেলায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৮০-৯০ কিলোমিটার। জগৎসিংহপুর, কটক, জাজপুর জেলায় এই গতিবেগ হতে পারে ৬০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অন্য দিকে, পুরী, খুরদা, ঢেঙ্কানল এবং কেওনঝড়ে ‘ডেনা’র গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার, সুন্দরগড়ে ৫০-৬০ কিমি, গঞ্জাম নয়াগড়, আঙ্গুল, দেওগড় এবং সম্বলপুরে এই ঝড়ের গতি হতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টি হবে ময়ূরভঞ্জ, বালেশ্বর, ভদ্রক, জাজপুর, কেন্দ্রাপাড়া, কটক, জগৎসিংহপুর, খুরদা, পুরী এবং গঞ্জাম জেলায়। ভারী বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরী, খুরদা, নয়াগড়, কেওনঝড় এবং ঢেঙ্কানলের বেশ কিছু জায়গায়। শুক্রবার চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে।