ঝড়ের আগমনে বেড়েছে জলোচ্ছ্বাস। শঙ্করপুরে গার্ডওয়ালে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। ছবি: শুভেন্দু কামিলা।
আরও শক্তি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’। বুধবার মধ্যরাতেই সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। গত সাত ঘণ্টায় উপকূলের দিকে আরও ৯০ কিলোমিটার এগিয়েছে ‘ডেনা’। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এটি ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে সরছে ‘ডেনা’। ঘূর্ণিঝড়টির মতিগতি থেকে আবহবিদদের অনুমান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ হবে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে।
বুধবার রাত থেকেই ওড়িশার উপকূলবর্তী এবং উত্তরের জেলাগুলিতে দুর্যোগ শুরু হয়েছে। উত্তাল রয়েছে সমুদ্রও। বৃষ্টি হচ্ছে কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বরে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান এবং ধামারা বন্দরের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে ‘ডেনা’। ওই বন্দরের যাবতীয় কাজ ইতিমধ্যেই স্থগিত রাখা হয়েছে। কর্মীরাও বন্দর ছেড়েছেন। সে কথা মাথায় রেখে ওই অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী অংশে উদ্ধারকারী দলকে মোতায়েন রেখেছে ওড়িশা প্রশাসন। উদ্ধারকারীদের ১৮২টি দলকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বুধবারই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি।
ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক রাজ্যবাসীকে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে বিভিন্ন ত্রাণশিবির এবং ‘ফ্লাড সেন্টারে’ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।