পরের লোকসভা ভোট হওয়ার কথা ২০২৪-এ। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন সে বছরেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি রূপায়ণ তাঁর লক্ষ্য। সেটা করতে হলে বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ ফুরনোর আগেই তা ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে যেতে হবে। যেমন পশ্চিমবঙ্গে বা অসমে ভোট হওয়ার কথা ২০২১-এ।
গুজরাতে বা উত্তরপ্রদেশে ২০২২ সালে। লোকসভা ভোটকে নির্ধারিত সময়ে রেখে সব রাজ্য ভোট করালে পশ্চিমবঙ্গ-অসমে মেয়াদের দু’বছর আগে, উত্তরপ্রদেশ-গুজরাতে ৩ বছর আগে বিধানসভা ভেঙে দিতে হবে। বিরোধীদের একটি অংশের অনুমান, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে ২০২২ সালে। মোদী বলতেই পারেন, এই ঐতিহাসিক বছরেই এক দেশ এক ভোট চালু করা যাক। সে ক্ষেত্রে লোকসভার ভোট দু’বছর এগিয়ে এনে, ফের জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলে ভোট করাতে পারবেন তিনি।
যদিও এই এক বার গোটা দেশে একসঙ্গে ভোট করালেই যে পরের ৫ বছরে কেন্দ্র বা কোনও রাজ্যের সরকার মাঝপথে পড়ে যাবে না, কোথাও ৩৫৬ ধারা জারির প্রয়োজন হবে না, এমনটা জোর দিয়ে বলার ক্ষমতা গণতন্ত্রে কারও নেই। তাতে আবার আলাদা আলাদা সময়ে নির্বাচনের পরম্পরা ফিরে আসবে। ১৯৫১ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত দুই ভোট একসঙ্গেই হয়েছে। ওই সব কারণেই এর পর থেকে ভোট হয়েছে আলাদা আলাদা সময়ে। মোদীকে সংবিধানের বিভিন্ন ধারা পাল্টে নিয়ে অকাল নির্বাচনের রাস্তা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: এক দেশ-এক ভোট নিয়ে কমিটি , গেলেন না অর্ধেকই, মোদী অটল