প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
বিহারে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)-এর পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে রবিবার লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরীক্ষায় কারচুপি এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে ফের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলে রাতে পটনার গান্ধী ময়দানে জড়ো হন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিহারের জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্য দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জের সময় দেখা মেলেনি পিকের।
পিকে গান্ধী ময়দানে পৌঁছতেই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ স্লোগান তোলেন,‘প্রশান্ত কিশোর গো ব্যাক’। বিক্ষোভের মুখে পিকে বলে বসেন, “আপনারা আমাদের কাছ থেকে কম্বল নিয়েছেন। এখন আবার আমাদেরই ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন?” তাঁর এই মন্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। পিকে-কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা।
বিক্ষোভের মুখে পড়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন পিকে। বলেন, “আমি পড়ুয়াদের সঙ্গে রয়েছি।” তিনি দাবি করেন যে, বিক্ষোভকারীদের তিনি নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে জমায়েত করার পরামর্শ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার ৪৫ মিনিট পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বিহার পুলিশের আচরণের নিন্দা করে পিকে হুঁশিয়ারির সুরে জানান, তিনি এর বিরুদ্ধে আদালত এবং মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হবেন।
বিহার পুলিশের বক্তব্য,পটনার গান্ধী ময়দানে জমায়েত করতে চেয়ে পিকে শনিবারই পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সেই সিদ্ধান্তও তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তার পরেও পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রবিবার গান্ধী ময়দানে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী জমায়েত করে এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়ির উদ্দেশে মিছিল করে এগোতে শুরু করে। তখন পুলিশ তাঁদের থামাতে লাঠিচার্জ করে। চাকরিপ্রার্থীদের কর্মসূচিকে সমর্থন করেন পিকে। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগে রাতেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এই পরিস্থিতিতে পিকে-কে নীতীশ সরকারের ‘বি টিম’ বলে কটাক্ষ করেছেন আরজেডি নেতা তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। তাঁর কথায়, “এই আন্দোলন শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের আন্দোলন চাপে ফেলে দিয়েছে সরকারকে। এই সময় কেউ কেউ সরকারের বি টিম হিসাবে কাজ করছেন।”