লাইনচ্যুত বাগমতী এক্সপ্রেসের একাধিক ইঞ্জিন। ছবি: পিটিআই।
মেন লাইন ছেড়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়াতেই কি বিপত্তি? তামিলনাড়ুর ট্রেন দুর্ঘটনায় উঠছে সেই প্রশ্ন। শুক্রবার রাতে কর্নাটকের মাইসুরু থেকে বিহারের দ্বারভাঙাগামী বাগমতী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভারতের দক্ষিণ রেলের জেনারেল ম্যানেজার আরএন সিংহ জানিয়েছেন, সিগন্যাল এবং রুটের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়াতেই বিপত্তি! তবে তদন্তের পরই পুরো বিষয় স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাতে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ের অদূরে একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয়ে যায় বাগমতী এক্সপ্রেসের কমপক্ষে ১২টি কামরা। ১৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি। দক্ষিণ রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনে করেন, আরও বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। কিন্তু তা এড়ানো গিয়েছে। ওই ট্রেনে ১,৩০০ জন যাত্রী ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আরএন সিংহ বলেন, ‘‘কিছু ভুল হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খুব তাড়াতাড়ি বলা সম্ভব নয়। রেলওয়ের নিরাপত্তা কমিশনারের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বাগমতী এক্সপ্রেস কাভারাইপেট্টাই স্টেশনে থামে। তার পর অন্ধ্রপ্রদেশের গুড়ুরের দিকে রওনা দেয়। সেই একই পথে যাচ্ছিল একটি মালগাড়ি। আগে এক্সপ্রেসকে ছাড়ার জন্য মালগাড়িকে মেন লাইন থেকে লুপ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়িটি। কিন্তু বাগমতী এক্সপ্রেস ভুলবশত মেন লাইন ছেড়ে লুপ লাইনে প্রবেশ করে। তখন এক্সপ্রেসের গতি ছিল ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে এক্সপ্রেসটি।’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকা ধাক্কায় লাইন থেকে ছিটকে পড়ে একের পর একের কামরা। বিকট শব্দও হয়। কয়েকটি কামরায় আগুনও ধরে যায়। দুর্ঘটনার পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। তবে দুর্ঘটনার পরই কামরা থেকে নেমে পড়েন যাত্রীরা। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য যাত্রীদের বিশেষ বাসে চাপিয়ে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা করানোর ব্যবস্থা করেন রেল আধিকারিকেরা।