— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাসখানেক ধরেই চিতাবাঘের হানায় তটস্থ হয়ে ছিল রাজস্থানের উদয়পুর। এ বার সেই উদয়পুরের জঙ্গল থেকেই মিলল মানুষখেকো চিতাবাঘের দেহ; ঘাড়ে গভীর ক্ষতের দাগ।
শুক্রবার দুপুরে উদয়পুরের গোগুণ্ডা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের জঙ্গল থেকে চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার হয়েছে। এলাকাটি সায়রা থানার অন্তর্গত। বন দফতরের আধিকারিক সুনীল কুমার জানান, চিতাবাঘটির মুখে ও ঘাড়ে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত তাকে কুড়ুল জাতীয় কিছু দিয়ে মারা হয়েছে। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই উদয়পুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল চিতাবাঘেরা। তবে এটি সেই মানুষখেকো চিতাবাঘদের দলের এক জন কি না, তা নিশ্চিত করে জানায়নি বন দফতর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে চিতাবাঘটি এলাকারই এক কৃষকের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। প্রথমেই কৃষকের গরুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। তাকে বাধা দিতে গেলে উল্টে কৃষকের উপরেই চড়াও হয় চিতাবাঘটি। কৃষকের চিৎকারে স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। এর পর সকলে মিলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চিতাবাঘটিকে জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যান। বন দফতরের আধিকারিকদের আশঙ্কা, গ্রামবাসীদের আঘাতেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে চিতাবাঘটির। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, মাসখানেক ধরেই চিতাবাঘের হানায় তটস্থ উদয়পুর। অনেক চেষ্টা করেও চিতাবাঘের দলকে বাগে আনতে পারেনি বন দফতর। এখনও বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়েরা। পরিস্থিতি এমনই যে, মানুষখেকো চিতাবাঘ ধরতে সেনা নামানো হয়। বন বিভাগের সঙ্গে যৌথ ভাবে তল্লাশি অভিযান চালায় তারা। ড্রোনের সাহায্যে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি এখনও আলাদা আলাদা দল গঠন করে চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে। গত মাসে উদয়পুরের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) অজয় চিতৌড়া জানিয়ে দেন, ছালি এবং তার আশপাশের গ্রামগুলিতে পঞ্চায়েতের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের জঙ্গলের দিকে একা না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডিএফও আরও জানান, চিতাবাঘ ধরার জন্য তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। জোধপুর, রাজসমন্দ এবং উদয়পুর থেকে দক্ষ লোকেদের নিয়ে আসা হয়েছে।