তদন্তকারীদের অনুমান, কমপক্ষে ৩-৪ দিন আগে অন্যত্র খুন করে যুবকের দেহটি ফাঁকা জমিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।
ফাঁকা জমিতে পড়ে রয়েছে এক যুবকের পচাগলা নগ্ন দেহ। শরীরে একাধিক ক্ষতের দাগ। কাছেই পড়ে রয়েছে একটি মোবাইল ফোন এবং কন্ডোম। সোমবার হায়দরাবাদের হায়াতনগরের বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
২৪ বছরের ওই যুবকের নাম-পরিচয় খোলসা করেছেন হায়াতনগর থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁরা জানিয়েছেন, বরাঙ্গল জেলার মুলুগু এলাকার বাসিন্দা ছিলেন কে রাজেশ নামে ওই যুবক। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কাজের খোঁজে হায়াতনগরে এসেছিলেন তিনি। সোমবার কুন্তলুর গ্রাম এবং পাপাইগুড়া মোড়ের মাঝে একটি ফাঁকা জমিতে তাঁর ক্ষতবিক্ষত নগ্ন দেহ দেখতে পান স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হায়াতনগর থানার পুলিশ। রাজেশের দেহের পাশে তাঁর মোবাইলটি মিলেছে। দেহের কাছে পড়েছিল একটি কন্ডোম।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজেশের মোবাইল খতিয়ে দেখে তাঁর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। অন্ধ্রপ্রদেশের এক তরুণীর সঙ্গে মোবাইলে শেষ বার কথোপকথন হয়েছিল তাঁর। ২২ মে পর্যন্ত দিলখুশনগরে এক বন্ধুর সঙ্গে ছিলেন রাজেশ। তবে বাড়ি ফিরতে ওই বন্ধুর কাছে ৩০০ টাকা ধারও চেয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, কমপক্ষে ৩-৪ দিন আগে অন্যত্র খুন করে রাজেশের দেহটি ফাঁকা জমিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত যৌন হিংসার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেও অনুমান।
হায়াতনগরের এলাকাটি হায়দরাবাদের লাল বাহাদুর নগর এলাকার অধীনস্থ। সেখানকার ডেপুটি কমিশনার বি সাইশ্রী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে যৌন হিংসা-সহ সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুবকের দেহ এতটাই পচেগলে গিয়েছে যে কোথায় কোথায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে তা ঠিকমতো চিহ্নিত করা মুশকিল হয়েছে পড়েছে। সেগুলি চিহ্নিত করতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।’’
এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় যথাক্রমে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।