Crime

‘মেয়ের বাবা অন্য কেউ’! সন্দেহের বশে ২০ দিনের কন্যাকে বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে খুনের চেষ্টা যুবকের

চন্দন ও তন্ময়ী গত বছর বিয়ে করেন এবং গত ৯ মে তন্ময়ী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তার পর থেকে বাবা-মার সঙ্গেই থাকছিলেন তন্ময়ী। সোমবার চন্দন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বালেশ্বর শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ১৭:৩৬
Share:

শিশুটিকে সোমবার বালেশ্বর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রতীকী ছবি।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে স্ত্রী! সন্দেহের বশে ২০ দিনের শিশুকন্যাকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওড়িশার বালেশ্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। শিশুটিকে সোমবার বালেশ্বর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। অভিযুক্তের নাম চন্দন মহানা। পুলিশ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

বালেশ্বরের পুলিশ সুপার সাগরিকা নাথ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান, অভিযুক্ত সন্দেহ করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। অভিযুক্ত এ-ও সন্দেহ করেন যে, সদ্যোজাত শিশুকন্যা তাঁর নয়। এর পরই বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেয়েকে খুন করার চেষ্টা করেন তিনি। কয়েক জন স্থানীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত চন্দনকে আটক করে।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, চন্দন ও তন্ময়ী গত বছর বিয়ে করেন এবং গত ৯ মে তন্ময়ী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তার পর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকছিলেন তন্ময়ী। সোমবার চন্দন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন। তন্ময়ী মেয়েকে বাবার হাতে ছেড়ে বাড়ির কাজ করছিলেন। এমন সময় মেয়ের কান্না শুনে তিনি ছুটে আসেন। দেখেন, স্বামীর হাতে একটি কীটনাশকের ইঞ্জেকশন এবং মেয়ে কাঁদছে। তন্ময়ী স্বামীকে চাপ দিলে তিনি শিশুকন্যাকে কীটনাশক ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

Advertisement

এর পর শিশুটিকে অবিলম্বে নিকটবর্তী একটি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বালেশ্বরের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement