অভিযুক্ত বৃদ্ধার বাড়ির সামনে ভিড় প্রতিবেশীদের। ছবি: সংগৃহীত।
স্বামী দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বৃদ্ধা। স্বামীর হাত থেকে ‘রেহাই’ পেতে তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। শুধু তাই-ই নয়, প্রতিবেশীরা যাতে টের না পান, তাই বাড়ির মধ্যেই স্বামীর সৎকার করেন তিনি। বৃদ্ধের এই কাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে।
অভিযুক্ত বৃদ্ধার নাম ললিতা। পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী কৃষ্ণাইয়া দীর্ঘ দিন ধরে রোগে ভুগছিলেন। আর রোগের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বৃদ্ধার আরও দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পর সৎকারের কাজে প্রতিবেশীদের কেউ এগিয়ে না আসায় তিনি নিজেই বাড়ির মধ্যে সৎকারের ব্যবস্থা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার বাড়ি থেকে বিকট পোড়ার গন্ধ পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। কৌতূহলবশত তাঁরা বিষয়টি দেখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। তাঁরা দেখেন, বাড়িতেই চিতা সাজিয়ে স্বামীকে পোড়াচ্ছেন বৃদ্ধা। এই দৃশ্য দেখে তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে বৃদ্ধাকে। তত ক্ষণে বৃদ্ধার স্বামীর দেহ ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
পাত্তিকোন্ডা আর্বান-এর সার্কল ইনস্পেক্টর মুরলী মোহন বলেন, “দুপুর ১২টা নাগাদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি একটি দেহ পুড়ছে। ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল দেহটি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মৃত ব্যক্তির নাম পি হরিকৃষ্ণ প্রসাদ। অসুস্থতার কারণে ১৫ বছর ধরে শয্যাশায়ী। তাঁর স্ত্রী ললিতাই দেখাশোনা করতেন। ললিতার দাবি, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি দেখেন, স্বামী মারা গিয়েছেন। প্রতিবেশীরা না আসায় বাড়িতে থাকা সমস্ত বই দিয়ে চিতা সাজান। তার পর স্বামীর সৎকারের ব্যবস্থা করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ললিতা মানসিক ভাবে সুস্থ নন। তাঁদের দুই পুত্র রয়েছেন। এর জন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। অন্য জন লন্ডনে থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধা মানসিক দিক থেকে সুস্থ না থাকায় স্বামীকে খুন করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।