ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। এই রকম সময়ে কেরলে সরকারি পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও নবতিপর নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন। তাঁর জন্য বরাদ্দ সরকারি আবাসনও তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে। সিপিএম অবশ্য রাজনৈতিক ভাবে এখনও এই বিষয়ে মনস্থ করেনি।
পাঁচ বছর আগে কেরলে এলডিএফ ক্ষমতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজয়নকে। কেরল সিপিএমে যাঁর সঙ্গে ভি এসের সম্পর্কের ‘রসায়ন’ সুবিদিত। প্রবীণ নেতা ভি এস-কে পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। কমিশনের প্রধানের ওই পদ মর্যাদার দিক থেকে পূর্ণমন্ত্রীর সমতুল। পাঁচ বছরের মাথায় সেই দায়িত্ব থেকেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন ভি এস। কারণ দেখিয়েছেন তাঁর ভগ্নস্বাস্থ্যের। সরকারি আবাসন ছেড়ে নিজের পুরনো বাড়িতেই এখন থাকতে চান তিনি। প্রসঙ্গত, অতীতে ইএমএস নাম্বুদিরিপাদ, ই কে নায়নারের মতো কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।
বয়স ও অসুস্থতাজনিত কারণে বেশ কিছু দিন ধরেই চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি ভি এস। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থাকলে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে মাঝেমধ্যে তিনি সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে চিঠি দিয়ে নিজের মতামত জানিয়ে দেন। বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন না। কিন্তু কেরলের আম জনতা এবং বিশেষত বাম সমর্থকদের মধ্যে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যোদ্ধা’ হিসেবে ভি এসের আলাদা ভাবমূর্তি আছে। তাঁর জনপ্রিয়তা অস্বীকার করতে পারেন না বিজয়নেরা। সেই কারণেই বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে ভি এসের পূর্ণ সন্ন্যাসে যাওয়ার ইচ্ছা মেনে নেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নে দ্বিধায় আছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সূত্রের ইঙ্গিত।
কেরল সিপিএমের এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, ‘‘ভি এসের বয়স এখন ৯৬। তাই বয়স ও স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর অব্যাহতি নিতে চাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তবে দু-এক মাস কমিশনের কাজ চালিয়ে দেওয়ার মতো ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’