ছবি- টুইটার
গত বছর পূর্ব লাদাখের গালোয়ানে সেনা সঙ্ঘর্ষ এবং টানা ৯ মাস ব্যাপী সীমান্ত বিবাদের জেরেই ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বুধবার তাজিকিস্তানে আয়োজিত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের পর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উচ্চ সামরিক পর্যায়ের বৈঠকেও সম্মতি দিয়েছে দুই দেশ।
বুধবার চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জয়শঙ্কর টুইটারে লিখেছেন, ‘একতরফা সীমান্ত বদলের চেষ্টা হলে ভারতের পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। চিনকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মাথায় রাখা উচিত, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতির জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখা জরুরি।’
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে বিবাদ মেটাতে গত বছরেই মস্কোয় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছিলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। সেই বৈঠকে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তা মেনে চলা জরুরি বলেও ওয়াংকে মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সহযোগিতা করবে চিন, এটাই আশা করে ভারত। কিন্তু এখনও অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে সমাধান অধরা রয়ে গিয়েছে।’