প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
দিদির আগমনীবার্তায় ছেয়ে গিয়েছে নেটমাধ্যম। বৃহস্পতিবার টুইটারের ‘ট্রেন্ডিং’ তালিকায় সকাল থেকেই উপরের দিকে রয়েছে হ্যাশট্যাগ ‘দিদি আ রহি হ্যায়’। এই ‘দিদি’ বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। এই ‘দিদি’ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। যিনি এআইসিসি-র তরফে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে। যোগী আদিত্যনাথ শাসিত রাজ্যে আগামী বছরের গোড়ায় বিধানসভা ভোট। সেই ভোটে ‘দিদি’ প্রিয়ঙ্কাকেই মুখ হিসেবে চাইছেন রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা। নেটাগরিকদের একাংশ বলতেও শুরু করে দিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কাকে বিরোধী শিবিরের মুখ করা হলে নির্বাচনে বিজেপি-র হার নিশ্চিত।
দিনক্ষণ চূড়াম্ত হতে এখনও ঢের বাকি। কিন্তু আগামী বছর মার্চে যোগীরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে সে রাজ্যের রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন। সেই সূত্রেই ভোটের জন্য তোড়জো়ড় শুরু করেছে কংগ্রেস। শুক্রবারই তিন দিনের লখনউ সফরে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশে ‘হাত’ শিবিরের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে, নির্বাচনের আগে দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই গাঁধী পরিবারের সদস্যার এই সফর। প্রিয়ঙ্কার সফরের খবর জানাজানি হতে সে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বেড়েছে বলেই মনে করছে এআইসিসি। সূত্রের দাবি, বিধানসভা ভোট পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশেই থাকতে পারেন প্রিয়ঙ্কা। গোটা রাজ্য জুড়ে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় ঘুরে প্রচারে অংশ নেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জঙ্গল-রাজের মতো বিষয় নিয়ে উত্তরপ্রদেশে সরব হওয়া শুরু করেছে কংগ্রেস।
টুইটারে উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কাকে কংগ্রেসের ‘মুখ’ হিসেবে দেখতে চেয়ে অনেকেই অনেক কিছু লিখেছেন। কেউ লিখছেন, ‘রাস্তায় নেমে আমাদের সঙ্গে আমাদের পাশে থেকে লড়াইয়ে অংশ নিতেই আসছেন আমাদের মেয়ে।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘যোগীর লঙ্কা জ্বালাতে আসছেন প্রিয়াঙ্কা।’ কিন্তু সব ছাপিয়ে ‘ট্রেন্ডিং’ হ্যাশট্যাগ ‘দিদি আ রহি হ্যায়’।