টুইটারে প্রকাশ পাওয়া, প্রাক্তন বিচারপতির বাড়ির সিসিটিভি থেকে নেওয়া ছবি।
এ যেন আইনের রক্ষকের হাতেই আইন ভাঙার নজির! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বাড়ির বৈঠকখানায় এক মহিলার উপর অত্যাচার করছেন তিন জন। ওই তিন জনের মধ্যে একজন প্রাক্তন বিচারপতি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেই প্রাক্তন বিচারপতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে এমন দু’টি ভিডিয়ো ক্লিপ। দেখা যাচ্ছে, এক গৃহবধুকে বিছানা, মেঝেতে ফেলে, টেনে-হিঁচড়ে মারধর করা হচ্ছে। আর তাঁর দুধের শিশু মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আর একটি শিশুও সেখানে চলে এসেছে। পরে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে।
এই ছবি হায়দরাবাদ ও মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন এক বিচারপতির বাড়ির। নাম নুটি রামমোহন রাও। তাঁকে ছাড়াও ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে তাঁরা হলেন প্রাক্তন বিচারপতির স্ত্রী নুটি দুর্গা জয়লক্ষ্মী ও তাঁদের ছেলে, নির্যাতিতার স্বামী নুটি বশিষ্ঠ। নির্যাতিতা গৃহবধুর নাম সিন্ধু শর্মা (৩০)।
আরও পড়ুন : হাঙরের মুখ থেকে সাঁতারুকে বাঁচিয়ে দিল ড্রোন, আকাশ থেকে ধরা পড়ল গোটা ঘটনা
ভিডিয়োটি গত এপ্রিলের। বিষয়টি তখনই সামনে আসে। সেই সময় অত্যাচারিত হওয়ার পর হায়দরাবাদের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সিন্ধুকে। একটি অভিযোগও দায়ের হয় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ২০১২ সালে বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য অত্যাচার করা হত সিন্ধুর উপর।
আরও পড়ুন : মৃত মানুষদের সঙ্গে ‘যোগাযোগ করে’ প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা!
অভিযোগ তখন সামনে এলেও সম্প্রতি একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। ভিডিয়োটিসোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে গত ২০ সেপ্টেম্বর। তারপরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
তবে অভিযুক্ত প্রাক্তন বিচারপতির দাবি, সিন্ধু আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন। তাই তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছিল। ওই দিন সিন্ধুর পোশাকের তলার কীটনাশক লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে দাবিপ্রাক্তন বিচারপতির। সিন্ধুর বিরুদ্ধে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টারওঅভিযোগ করেছেন ওই প্রাক্তন বিচারপতি নুটি রামমোহন রাও।