বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পুলিশের গাড়ি। টুইটার থেকে নেওয়া।
এক দলিত ছাত্রের মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের আউরাইরা জেলায়। ক্লাসে বানান ভুল করায় শিক্ষক তাকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। শনিবার হাসপাতালে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। তার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের জিপ।
গত ৭ সেপ্টেম্বর, সমাজ বিজ্ঞানের পরীক্ষায় একটি বানান ভুল করে নিখিত দোহরে নামে ওই ছাত্র। তার পর তাঁর শিক্ষক অশ্বিনী সিংহ তাকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পাশের জেলার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নিখিতের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর সোমবার সন্ধ্যায় পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চলছে। পরিবার ও ভিম আর্মির নেতারা প্রাথমিক ভাবে নিখিতের শেষকৃত্য করতে আপত্তি করেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক উচ্চবর্ণের হওয়ায়, বর্ণবৈষম্যের অভিযোগে শুরু হয় বিক্ষোভ। নিখিতের স্কুলের সামনে পথ অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসাত্মক চেহারা নেয়। পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশের উপর পাথরবৃষ্টিরও অভিযোগ ওঠে।
পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে দেহ গ্রামে নিয়ে গিয়ে নিখিতের শেষকৃত্যে সম্মত হয় পরিবার। জেলা পুলিশ কর্তারা দ্রুত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। এক জন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক জানান, যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা অশ্বিনী সিংহকে গ্রেফতার করবেন। কঠোর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে নিখিতের বাবা দাবি করেছেন, নিখিতের চিকিৎসার জন্য প্রথমে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন অশ্বিনী। পরে আরও ৩০ হাজার টাকা দেন তিনি। কিন্তু তার পর থেকেই তিনি আর নিখিতের বাবার ফোন ধরছেন না। নিখিতের বাবার আরও অভিযোগ, অশ্বিনীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে দলিত বলে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। নিখিতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে মামলার তদন্ত শুরু করেছে।