লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করে অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ পাচার করতে গিয়ে ধৃত প্রেমিক। অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ পাচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিযুক্তের ঠাকুমা। কিন্তু এক প্রেমিকার বান্ধবীর তৎপরতায় ফাঁস হল খুনির কীর্তি। মুম্বইয়ের এই রোমহর্ষক কাহিনি যে কোনও থ্রিলারকে হার মানাবে
ঘটনাটি কী? রাতের বেলায় কাজের জায়গা থেকে মত্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন লিভ ইন সঙ্গী। সেই ‘দোষে’রই শাস্তি দিতে লিউ ইন সঙ্গীকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠল ৩০ বছর বয়সি প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
খুনের পর প্রেমিকার মৃতদেহ লোপাট করতে কর্নাটকে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের ঠানেতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম সাদ্দাম সৈয়দ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত পাঁচ মাস ধরে ভিওয়ান্ডির শিবাজি নগরের একটি ফ্ল্যাটে প্রেমিকা কবিতা মাদার (২৪)-এর সঙ্গে একত্রবাস করতেন অভিযুক্ত সাদ্দাম।
অভিযুক্ত সাদ্দাম বেকার হলেও কবিতা একটি পানশালায় কাজ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কবিতা পানশালায় কাজ করে মত্ত অবস্থায় ফিরে আসেন।
প্রেমিকাকে মত্ত অবস্থায় দেখেই সাদ্দাম রেগে যান। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
অভিযোগ, এর পরই রাগের বশে কবিতাকে গলা টিপে খুন করেন সাদ্দাম। খুনের পর ভয় পেয়ে সাদ্দাম ঠাকুমাকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান।
তাঁর ঠাকুমা কবিতার মৃতদেহ নিয়ে কর্নাটকের বিজপুরে চলে আসার পরামর্শ দেন।
কবিতার মৃতদেহ কর্নাটকেরই কোনও এক জায়গায় ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঠাকুমার পরামর্শে একটি অ্যাম্বুলেন্সও ডেকে অভিযুক্ত সাদ্দাম কর্নাটকের উদ্দেশে রওনা দেন। এরই মধ্যে কবিতার এক বন্ধু তাঁকে ফোনে না পেয়ে ওই ফ্ল্যাটে এসে উপস্থিত হন।
কবিতার প্রতিবেশীরা তাঁকে জানান, ‘অসুস্থ’ কবিতাকে নিয়ে অ্যম্বুল্যান্সে করে বেরিয়ে গিয়েছেন সাদ্দাম। এ সব শুনে কবিতার বন্ধুর সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর বার করে। অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাওয়া করে পুণের কাছে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।