হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর। ছবি: পিটিআই।
মণিপুরে দুই মেইতেই ছাত্র অবিনাশ মাইবাম ও এন অ্যান্টনির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পুলিশ এল চোংগলৈ ও এস হাংসিং নামে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ঘটনার পিছনে সংঘর্ষবিরতিতে থাকা কুকি রেভলিউশনারি আর্মির হাত রয়েছে। কিন্তু কেআরএ-র তরফে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট বলা হয়, দুই তরুণকে অপহরণের বিষয়ে তারা কোনও ভাবেই জড়িত নয়। আদালত ধৃতদের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
মণিপুরের পশ্চিম ইম্ফলে মঙ্গলবার কাংচুপ এলাকায় একটি কুকি পরিবারের উপরে হামলা, চার জনের অপহরণ ও তার জেরে কুকি এলাকা থেকে মেইতেইদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২ পুলিশকর্মী-সহ ১১ জনের জখম হওয়ার খবর এসেছে। কুকিদের দাবি, কাংচুপের ঘটনা প্রমাণ করল, রাজ্যে কুকিদের কোনও নিরাপত্তা নেই। অপহৃতরা চূড়াচাঁদপুর থেকে লেইমাখং যাচ্ছিলেন। মেইতেইরা সশস্ত্র যৌথ বাহিনীর চেকপোস্টে এসে ৫ জনকে মারধর করে সঙ্গে নিয়ে যায়। এক জন কোনও মতে পালান। পরে সেনাবাহিনী অপহৃতদের মধ্যে মাংলুন হাওকিপকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কপ্টারে ডিমাপুরের হাসপাতালে নিয়ে যায়। আজ তাঁকে ফের কপ্টারে গুয়াহাটি সেনা হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বাকি দুই দম্পতির এখনও খোঁজ মেলেনি।
মণিপুরে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার এনআইএকে দেওয়া হয়েছিল। ওই তদন্তের সূত্র ধরে তারা জম্মুতে বিশেষ অভিযান চালায়। বুধবার সেখানে ধরা হয়েছে মায়ানমারের বাসিন্দা, জ়াফের আলম নামে এক রোহিঙ্গাকে। মণিপুরের নাগা অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে কোনও সংঘর্ষ না হওয়ায়, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে সেই সব জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট চালু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী খাসিম ভাসুম জানান, উখরুল, চান্ডেল, তামেংলং ও সেনাপতি জেলায় ইন্টারনেট চালু হবে।