রাতপাহারায় গ্রামবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত।
নেকড়ে ভেবে ভুল করে একটি কুকুরকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে। এমনিতেই গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নেকড়ের হামলায় আতঙ্কিত বহরাইচের ৩৫টি গ্রাম। ছ’টি নেকড়ের মধ্যে চারটি ধরা পড়লেও এখনও দু’টি মানুষখেকো নেকড়ে অধরা। নেকড়ের আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এ বার কুকুরকেই নেকড়ে ভেবে পিটিয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা।
বন দফতর সূত্রে খবর, মহসী এলাকায় পর পর দু’দিন নেকড়ের হামলা হয়। এই হামলায় দু’-তিন জন জখম হয়েছেন। নেকড়ে ধরতে রাত জাগছেন গ্রামবাসীরা। আর তাঁদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ২০০ পুলিশকর্মী। কিন্তু তাতেও যেন আতঙ্ক কাটছে না। মহসীর মাজরা লোধনপুরওয়া গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, নেকড়ের হামলার ভয়ে যখন গোটা গ্রাম সন্ত্রস্ত, সেই সময়ে একটি প্রাণীর হামলার খবর আসে। কৃপারাম নামে এক ব্যক্তি এবং তাঁর নাতির উপর হামলা করে প্রাণীটি। রাতে হামলা করায় সকলেই ভেবেছিলেন নেকড়ে হামলা করেছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন প্রাণীটির। তত ক্ষণে গ্রামেরই অন্য প্রান্তে সঙ্গম লাল নামে আরও এক ব্যক্তির উপর হামলা করে প্রাণীটি। সেখানে লোকজন হামলাকারী প্রাণীটিকে ঘিরে ফেলেন। তার পর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান বন দফতরের আধিকারিকেরা। গ্রামবাসীরা তাঁদের জানান, নেকড়ের হামলা হয়েছে। কিন্তু মৃত প্রাণীটিকে ভাল ভাবে খতিয়ে দেখে বন দফতরের আধিকারিকেরা জানান, নেকড়ে নয়, সেটি একটি কুকুর। নেকড়ে ভেবে কুকুর মারা শুরু হওয়ায় নতুন একটি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বহরাইচে মানুষখেকো নেকড়ের হামলায় জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত সাত শিশু-সহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ত্রিশ জনেরও বেশি। তাঁদের মধ্যে ২০ জন গুরুতর আহত।