Wolf Attack

রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আক্রান্ত ৫! মানুষখেকো-ভয়ে গোটা গ্রাম, বহরাইচের পর নেকড়ের আতঙ্ক মধ্যপ্রদেশেও

উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের পর এ বার মধ্যপ্রদেশের খান্দওয়া। রাতে বাড়ি বাইরে ঘুমোচ্ছিলেন একই পরিবারের পাঁচ জন। সেই সময় একটি নেকড়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। পাঁচ জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের পর এ বার মধ্যপ্রদেশেও নেকড়ের আতঙ্ক। ঘটনাস্থল সে রাজ্যের খান্দওয়া। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই এলাকায় শুক্রবার রাতে বাড়ির বাইরে ঘুমোচ্ছিলেন পাঁচ জন। সেই সময়েই একটি নেকড়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। শনিবার সকালে এ কথা জানিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। জখমদের মধ্যে রয়েছেন এক জন মহিলাও। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

বহরাইচে সম্প্রতি মানুষখেকো নেকড়ের হামলার পর, খান্দওয়ার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। পাঁচ জনের উপর হামলার ঘটনার পর ভয়ে গ্রামবাসীরা নেকড়েটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেছেন বলেও একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় নড়চড়হীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে নেকড়েটি। যদিও সেটিকে হত্যা করা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বন দফতরের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ওই গ্রাম তো বটেই, আশপাশের গ্রামেও সাধারণ মানুষজন আতঙ্কে ভুগছেন।

বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক বন আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলটি ভোপাল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকাটি বনাঞ্চলের কাছে হওয়ায় মাঝেমধ্যেই বুনো কুকুর, নেকড়ে ও শিয়ালের দেখা মেলে। তিনি বলেছেন, “ভোর ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে আমাদের কাছে খবর আসে নেকড়ের হামলার। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের একটি দল হাসপাতালে যায়, একটি দল গ্রামে যায়। একজন মহিলার মাথায় জখম রয়েছে। বাকিদের হাতে জখম রয়েছে। তাঁদের কামড়ে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল নেকড়েটি। আহতদের চিকিৎসায় সব রকম সহায়তা করা হবে।”

Advertisement

বহরাইচের ঘটনায় এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে উত্তরপ্রদেশের এক গ্রামে কুকুরকেও মেরে ফেলার অভিযোগ উঠে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের মহসি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, কুকুরটিকে নেকড়ে ভেবে পিটিয়ে মেরেছেন গ্রামবাসীরা। যদিও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই গ্রামে নেকড়ের কোনও পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement