দিল্লির আদালতে ‘প্রাণের ঝুঁকি’র কথা জানালেন বিকাশ যাদব। পন্নুনকাণ্ডে এফবিআইয়ের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় আছেন তিনি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর নেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে। তিনি ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং)-এর প্রাক্তন কর্তা। বর্তমানে প্রাণসংশয়ে ভুগছেন তিনি। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কার কথা দিল্লির এক আদালতেও জানিয়েছেন বিকাশ। অক্টোবর মাসে আমেরিকার এক আদালতে বিকাশের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই-এর ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন তিনি। এই আবহেই দিল্লির আদালতে ‘প্রাণের ঝুঁকি’র কথা জানালেন তিনি।
দিল্লিতে তোলাবাজি সংক্রান্ত একটি মামলাতেও অভিযুক্ত বিকাশ। ওই মামলায় দিল্লির পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে অবশ্য জামিনে মুক্ত। ওই মামলায় শুনানির সময়ে দিল্লির এক আদালতে হাজিরা দিতে হয় তাঁকে। প্রাণের ঝুঁকির কথা জানিয়ে আপাতত ওই তোলাবাজির মামলায় আদালতে হাজিরা না দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এমনকি শুনানির সময় অনলাইনেও হাজিরা দিতে চান না তিনি। তাঁর আশঙ্কা, এর ফলে তিনি কোথায় আছেন, তা ‘ট্র্যাক’ করা যেতে পারে। ফলে তাঁর প্রাণের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, পন্নুনকাণ্ডে কোনও ভারতীয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছে মোদী সরকার। গত মাসে বিকাশের ভাই অবিনাশ যাদবও রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ফোনে তাঁর সঙ্গে বিকাশের কথা হয়েছিল। তখনই পন্নুনকাণ্ডে জড়িত থাকার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন সরকারি আধিকারিক। এমনকি অবিনাশের দাবি, বিকাশের পরিবার জানতেনই না তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা জানতেন, বিকাশ সিআরপিএফ-এ কর্মরত।
পন্নুন আমেরিকা এবং কানাডার দ্বৈত নাগরিক। কানাডায় আশ্রয় নেওয়া পন্নুন গত সেপ্টেম্বরে সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এর পর তাঁর চণ্ডীগড়ের বাড়ি এবং অমৃতসরের জমি বাজেয়াপ্ত করেছিল এনআইএ। প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে পন্নুনের বিরুদ্ধে ২২টি অপরাধের মামলা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি দেশদ্রোহিতার।