ধস উত্তরাখণ্ডে। সোমবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
বড় ধসে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসছে পাহাড়ের একাংশ। একের পর এক গাছ উপড়ে পড়ছে ভেঙে পড়া পাহাড়ের একাংশের পাথরের আঘাতে। তা দেখে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা মানুষের। যে যে দিকে পারছেন ছুটে পালাচ্ছেন প্রাণের ভয়ে। ভারী পাথরে চাপা পড়ার ভয়ে যানবাহন মুখ ঘুরিয়ে উল্টো দিকে ছুটছে।
হিমাচল প্রদেশের পর এ বার বড়সড় ধস নামল উত্তরাখণ্ডে। টনকপুর থেকে চম্পাওয়াতের মধ্যবর্তী জাতীয় সড়কে। সোমবার। কয়েক সপ্তাহ আগে হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে ধস নেমে চাপা পড়ে একটি যাত্রীবোঝাই বাস। পরে ২৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ বহু।
টুইট করে উত্তরাখণ্ডে ধস নামার ঘটনার ভিডিয়ো দিয়েছেন নেটাগরিকরা। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, টনকপুর থেকে চম্পাওয়াত যাওয়ার পথে সোয়ালার কাছে বড়সড় ধসে পাহাড়ের একাংশ হুড়মুড়িয়ে নীচে নেমে আসছে। ভেঙে পড়া পাহাড়ের একাংশের পাথরের আঘাতে একের পর এক উপড়ে পড়ছে গাছ। তা দেখে ভয়ে জাতীয় সড়কে থেমে যাওয়া সার সার গাড়ি থেকে নেমে পড়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ভয়ে গাড়িগুলি মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে যে দিক থেকে এসেছিল, সে দিকেই ফিরে যেতে। ধসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সোয়ালার কাছে জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশ।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিনীত তোমর বলেছেন, “অবরুদ্ধ জাতীয় সড়কের ওই অংশকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অন্তত দু’দিন সময় লাগবে।”