Uttarakhand

ছেনি-হাতুড়ি ঠুকে আস্ত পাহাড় কেটে রাস্তা! অসাধ্যসাধন করলেন উত্তরাখণ্ডের ‘দশরথ মাজি’

বাগেশ্বরের গারুড় এলাকার গোয়ার গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশ মুম্বইয়ের একটি আবাসনে দেখভালের কাজ করতেন। গত বছর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে ফিরে দিনমজুরের কাজ করতে শুরু করেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৮:১০
Share:

গত বছরের জুন থেকে প্রতি দিন সকাল ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজ করতেন প্রকাশ। ছবি: সংগৃহীত।

পাহাড় পেরিয়ে আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তাই ছেনি-হাতুড়ি-কোদাল দিয়ে আস্ত পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করে ফেলেছিলেন বিহারের বাসিন্দা দশরথ মাজি। এ বার দশরথের মতোই ‘অসাধ্যসাধন’ করলেন উত্তরাখণ্ডের প্রকাশ গোস্বামী। ছেনি-হাতুড়ি নিয়ে আস্ত পাহাড় কেটে ৫০০ মিটার রাস্তা তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। ন’মাসের মধ্যে পাহাড় কেটে গ্রামের রাস্তার সঙ্গে প্রধান সড়কের সংযোগ ঘটিয়েছেন প্রকাশ। অবশ্য পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করার নেপথ্যে প্রকাশের কারণ দশরথের থেকে আলাদা।

Advertisement

বাগেশ্বরের গারুড় এলাকার গোয়ার গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশ মুম্বইয়ের একটি আবাসন দেখভালের কাজ করতেন। গত বছর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে ফিরে প্রতি দিন ৬০০ টাকা পারিশ্রমিকে দিনমজুরের কাজ করতে শুরু করেন। গ্রামে ফিরে আসার পর থেকেই তিনি দেখেন গ্রাম থেকে প্রধান সড়কে যাওয়ার কোনও উপযুক্ত রাস্তা নেই। গাড়ি তো দূরের কথা, মোটরবাইকও পাহাড় পেরিয়ে গ্রামে ঢুকতে পারে না। জরুরি পরিস্থিতিতেও বিপদে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রশাসনকে বার বার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। এর পর নিজে থেকেই রাস্তা তৈরির কাজে হাত লাগান প্রকাশ।

তাঁর কথায়, ‘‘কিছু জায়গায় রাস্তা এখনও প্রশস্ত করা দরকার। কিন্তু রাস্তা প্রায় প্রস্তুত। এখন, চার চাকার গাড়িও আমার বাড়িতে পৌঁছে যেতে পারে। এই রাস্তা তৈরির কারণে গ্রামের প্রায় ৩০০ জন উপকৃত হবেন। আমি প্রশাসন বা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। রাস্তা তৈরির জন্য প্রায়ই আমাকে কটূক্তি করা হত।” গত বছরের জুন থেকে প্রতি দিন সকাল ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিনি পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজ করতেন।

Advertisement

বাগেশ্বরের কান্দা এলাকাতেও গত ২০ বছর ধরে রাস্তার দাবি তুলে আসছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি জনা দশেক মহিলা নিজেরাই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ওই মহিলাদের এক জন পুষ্পা দেবী বলেন, ‘‘রাস্তা না থাকার কারণে গর্ভবতী মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আর সেই কারণেই আমরা রাস্তা তৈরির কাজে নেমেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement