মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাত্য। ফাইল চিত্র ।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে একেবারেই ধাক্কা খায়নি রাজ্য। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমনই মন্তব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার সঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাত্য। সেখানেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে রাজ্য একেবারেই ধাক্কা খায়নি। আমরা মহামান্য আদালতের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত। রাজ্যপালের সই ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়োগ করতে পারে না রাজ্য। রাজ্যপাল কয়েক দিন আগেই কয়েক জন উপাচার্যকে তিন মাসের জন্য পুর্নবহাল করেছিলেন। গত কয়েক দিনে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের নিয়োগে রাজ্যপালের সম্মতি রয়েছে। অর্থাৎ, কোনও অসঙ্গতি নেই। আমরা হাই কোর্টের রায়ে সহমত পোষণ করছি।’’
গত ২০২১-এর ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্য তাঁর সম্মতি ছাড়াই এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছে। রাজ্যপালের দেওয়া তালিকায় নাম ছিল গৌড়বঙ্গ, আলিপুরদুয়ার, বর্ধমানের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েরও। সেই প্রসঙ্গে ব্রাত্যের দাবি, সেই সময়ে পরিস্থিতি আলাদা ছিল। প্রত্যেক রাজ্যপালের সময়কাল এবং সেই সময়কালে তৈরি হওয়া সমস্যাও আলাদা আলাদা। ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন এমন কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যে কারণে তখন অন্য রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে ব্রাত্য মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যদের একমাত্র নিয়োগ করতে পারবেন আচার্য। উপাচার্য নিয়োগ করার কোনও ক্ষমতা রাজ্য সরকারের হাতে থাকবে না। পাশাপাশি, রাজ্যের নিয়োগ করা সকল উপাচার্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নতুন চাপের মুখে পড়েছে রাজ্য। তবে মঙ্গলবার বিকেলেই আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করতে দেখা গেল শিক্ষামন্ত্রীকে।