গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী মেহতাব এবং তাঁদের সাত সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সালিম। প্রতীকী ছবি।
সংসারের খরচ আর সামলাতে পারছিলেন না। তার উপর বাড়ি খালি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সালিমকে। দুশ্চিন্তা গ্রাস করে ফেলেছিল সালিমকে। হঠকারিতার বশে নিজের সন্তানদের ইঁদুর মারার বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সালিম। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের রামপুরে মাদাইয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী মেহতাব এবং তাঁদের সাত সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সালিম। সালিম এবং মেহতাবের এক পুত্র থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত থাকতেন তিনি। এ ছাড়া সালিম জমি জবরদখল করে বাড়ি বানিয়েছিলেন এই অভিযোগে ২০২১ সালে তাঁকে নোটিস দিয়ে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলা হয়। সংসারের খরচও সামলে উঠতে পারছিলেন না তিনি।
শুক্রবার ঘটনার সময় সালিমের সঙ্গে বাড়ির ভিতর আট বছরের কন্যা এবং দশ বছরের পুত্র ছিল। স্ত্রী মেহতাব এবং বাকি পাঁচ সন্তানদের কেউ বাড়িতে ছিল না। সেই সুযোগে সালিম তাঁর দুই সন্তানকে ইঁদুর মারার বিষ খাওয়ান বলে মেহতাবের দাবি। সন্তানদের বিষ খাওয়ানোর পর নিজেও বিষ খেয়ে মারা যান বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সালিম এবং তাঁর কন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সালিমের পুত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেহতাবের দাবি, ‘‘ছেলের অসুখ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল ও। বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে বলেও চিন্তাভাবনা করত খুব। সংসারের খরচ চালাতে পারছিল না।’’
যদিও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, ২০২১ সালে মেহতাবের পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর পর তা এখনও বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। সালিম এবং মেহতাবের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত পুত্রের চিকিৎসার খরচ বহু দিন ধরে জেলা প্রশাসন বহন করে এসেছে।