যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু সরকারি বাসের চালকের। — ফাইল ছবি।
বাস চালাতে চালাতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। সেই অবস্থায় ১৫ কিলোমিটার বাস চালিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিলেন গুজরাতের সরকারি বাসের চালক ৪০ বছরের ভারমল আহির। বাস থেকে নামতেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গুজরাতের রাধানপুরে।
রবিরার রাত সাড়ে ৮টায় সোমনাথ থেকে সরকারি বাস নিয়ে বেরিয়েছিলেন ভারমল। সকাল ৭টায় পৌঁছনোর কথা রাধানপুরে। মাঝে ভারাহি নামে একটি জায়গায় চা খেতে দাঁড়িয়েছিল বাস। ভারাহি থেকে আবার বাসে উঠতেই শারীরিক অস্বস্তি শুরু হয় ভারমলের। বুকে ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সোজা হয়ে বসে থাকতেও অসুবিধা হচ্ছিল ভারমলের। সেই অবস্থাতেও ভারমল বাস থামাননি। যাত্রীদের মাঝরাস্তায় ছেড়ে দিলে গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা, তাই শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই বাস চালিয়ে গন্তব্যে পৌঁছন ভারমল। রাধানপুরের বাস টার্মিনাসে বাস থামে নির্দিষ্ট সময়ে। নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যান। কিন্তু চালকের আসন ছেড়ে নামতে পারেননি ভারমল। তাঁকে ধরে বাস থেকে নামিয়ে স্থানীয় রাধানপুর সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভারমলের বাসের কন্ডাক্টর দীনেশ দেশাই বলেন, ‘‘ভারাহি থেকে বাসে উঠতেই ভারমলের বুকে ব্যথা বাড়তে থাকে। কিন্তু যাত্রীদের বিপদে ফেলতে চাননি তিনি। তাই ওই অবস্থায় বাস চালিয়ে নিয়ে যান তিনি। রাধানপুরে পৌঁছেই প্রাণ হারান।’’
বাস টার্মিনাসে পৌঁছতেই দীনেশ দ্রুত অন্যান্যদের ডেকে নিয়ে আসেন। তখন চালকের আসনেই এলিয়ে পড়েছেন ভারমল। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।