উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র ।
স্বেচ্ছায় বিবাহবিচ্ছেদ না করলে খুন করে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন মহকুমা শাসক স্ত্রী এবং তাঁর হোম গার্ড অফিসার প্রেমিক! এমনই অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দ্বারস্থ হলেন উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি কর্মচারী। একই সঙ্গে নিরাপত্তা চেয়ে প্রয়াগরাজের ধুমানগঞ্জ থানা এবং হোম গার্ড সদর দফতরেরও দ্বারস্থ হয়েছেন ওই সরকারি কর্মচারী। এনেছেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগকারী যুবক উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েতি রাজ বিভাগের কর্মচারী। তাঁর স্ত্রী বরেলী জেলার মহকুমা শাসক। স্ত্রীর প্রেমিক উত্তরপ্রদেশের হোম গার্ড বিভাগের একজন অফিসার। ওই সরকারি কর্মীর অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন। বিবাহবিচ্ছেদে রাজি না হলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। একই সঙ্গে পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফেও তাঁকে সাহায্য না করার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশ এখনও এই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেনি। তবে ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হোম গার্ড বিভাগ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগকারী ধুমানগঞ্জ থানার ঝালওয়া এলাকার বাসিন্দা। ২০১০ সালে তিনি বারাণসীর এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাঁর কথায়, “আমি পড়াশোনায় ভাল ছিলাম এবং বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতাম। স্ত্রী-ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল। আমি সহজেই রাজি হয়ে যাই। ভেবেছিলাম স্ত্রীর অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করব।’’
তিনি আরও বলেন,‘‘আমি প্রতাপগড়ে থাকলেও স্ত্রীকে পড়াশোনার জন্য প্রয়াগরাজের ভাল কোচিং ক্লাসে ভর্তি করিয়েছিলাম। আর্থিক টানাটানি সত্ত্বেও স্ত্রীর সমস্ত খরচ বহন করতাম। ২০১৬ সালে স্ত্রী সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মহকুমা শাসক হয়। প্রথমে প্রয়াগরাজে কর্মরত থাকলেও স্ত্রী পরে বরেলীতে বদলি হয়ে যায়।’’
ওই সরকারি কর্মীর দাবি, ২০২০ সালে সেখানেই ওই হোম গার্ড অফিসারের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর স্ত্রীর। অভিযোগ, ২০২১ সালে তিনি স্ত্রী এবং ওই অফিসারকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এর পরই স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক তাঁকে ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ ওই কর্মীর।
তিনি বলেন, “আমি সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে স্ত্রীর পড়াশোনা করিয়েছি এবং এখন সে এক জন অফিসার। সেই স্ত্রী-ই এখন আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি। ধুমানগঞ্জ থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছি।’’