অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
কয়লা সঙ্কটের মধ্যে দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে চরম ভোগান্তিতে দেশের অধিকাংশ রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা এবং জ্বালানির প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই একটি নিবিড় কর্ম-পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করা উচিত।’’
ঘটনাচক্রে, সোমবারই দেশে সাম্প্রতিক কয়লার সঙ্কট এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিংহ, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো এবং কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীও নয়াদিল্লিতে বৈঠকে হাজির ছিলেন। এর পরেই যোগীর এমন মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, শাহের সঙ্গে যোগীর ‘সমীকরণ’ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিজেপি-র অন্দরে।
দেশের তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ঘাটতির কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সেন্ট্রাল ইলকট্রিসিটি অথরিটির (সিইএ) সাম্প্রতিক তথ্যেও সে কথা বলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে সরকারের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, সে রাজ্যে দৈনিক প্রায় ২৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ২০ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। পড়শি তিন রাজ্য, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রায় ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত পেলেও যোগী সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার লখনউতে উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে যোগী বলেন, ‘‘যে গ্রাহকদের সঠিক সময়ে, সঠিক বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে।’’ ভুল বিল এবং দেরিতে পাঠানো বিলের কারণে যাতে গ্রাহকদের অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেন তিনি।