G7 Summit

G-7 Summit: আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে মোদীকে জি-৭ শীর্ষবৈঠকে চায় জার্মানি

জি-৭ শীর্ষবৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর ক্ষেত্রে জার্মানি-সহ কয়েকটি সদস্য দেশের ‘দ্বিধা’ রয়েছে বলে আগে একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বার্লিন শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ১৪:৪৮
Share:

বার্লিন বিমানবন্দরে মোদীকে অভ্যর্থনা জার্মান সরকারের প্রতিনিধির। ছবি: পিটিআই।

রাশিয়াকে চাপে ফেলতে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষবৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সওয়াল করবে জার্মানি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্লিন সফরের মাঝেই সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসে মিউনিখের বাভারিয়ায় ওই শীর্ষবৈঠক হওয়ার কথা। জার্মানি চাইছে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের পাশাপাশি মোদীকেও সেখানে আমন্ত্রণ জানাতে।

সোমবার সন্ধ্যায় বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মোদী। সেখানে দুই নেতার জি-৭ শীর্ষবৈঠক নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। জার্মান সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, আন্তর্জাতিক মঞ্চে মস্কোকে আরও বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যেই জি-৭ শীর্ষবৈঠকে মোদীকে আমন্ত্রণের কৌশল নিতে চলেছেন ওলাফ।

Advertisement

এখনও কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেনে রুশ সেনার হামলার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব সমর্থন করেনি নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে জি-৭ শীর্ষবৈঠকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর ক্ষেত্রে জার্মানি-সহ কয়েকটি সদস্য দেশের ‘দ্বিধা’ রয়েছে বলে সপ্তাহ খানেক আগে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, রাশিয়াও এক সময়ে জি-৭ গোষ্ঠীর সদস্য ছিল। কিন্তু ২০১৪ ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখলের পর আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির উদ্যোগে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও সরাসরি কোনও পক্ষ নেয়নি নয়াদিল্লি। বুচায় রুশ সেনার গণহত্যার নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি। আবার রাশিয়া নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকা তথা পশ্চিমী বিশ্বের নিন্দা প্রস্তাবে ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছেন। যুদ্ধের আবহে রুশ বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে এসে তেল বিক্রি নিয়েও আলোচনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির জারি করা আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় সায় দেয়নি ভারত। মোদীর সরকারের এই ‘ভারসাম্যের কূটনীতি’ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement